Sunday, May 14, 2017


বয়ফ্রেন্ড জলপরী গল্প





এক বয়ফ্রেন্ড গেছে তার গার্লফ্রেন্ড কে
নিয়ে পুকুর দেখতে-
.
হটাৎ গার্লফ্রেন্ড পুকুরে পরে গেলো....
অতপর,,,
বয়ফ্রেন্ড কাঁদতে লাগলো...
.
বয়ফ্রেন্ডের কান্না শুনে এক জলপরী উঠে
এসে বললো-
.
জলপরীঃ এই বালক,কাদছো
কেনো??
বয়ফ্রেন্ড: আমার গফ পানিতে পড়ে গেছে...
তাই কাঁদছি॥
.
জলপরীঃ আচ্ছা,অপেক্ষা করো আমি তোমার
গফরে
এনে দিচ্ছি..
.
এই বলে জলপরী পানিতে
ডুব দিলো..
অতপর জলপরী নিয়ে এল এক কালো
মেয়েকে।
জলপরী ছেলকে জিজ্ঞাসা করল: এটাই কি
তোমার গফ?
ছেলে চিনতে না পেরে অস্বীকার করল।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এরপর কি ভাবছেন জলপরী আরেকটা সুন্দর
মেয়ে তুলবে?
জ্বী না।
অস্বীকার করায় ছেলেরে কইশ্যা এক চড় দিয়া
কইল:
.
.
.
.
হারামজাদা ভাল করে দেখ এটাই তোর
গার্লফ্রেন্ড।
পানিতে পরে মেকাপ উঠে গেছে।

Friday, May 12, 2017


আমি খুব অল্প কিছু চাই-



 আমাকে ভালবাসতে হবে না,
ভালবাসি বলতে হবে না.
মাঝে মাঝে গভীর আবেগ
নিয়ে আমার ঠোঁট
দুটো ছুয়ে দিতে হবে না.
কিংবা আমার জন্য রাত
জাগা পাখিও
হতে হবে না.
অন্য সবার মত আমার
সাথে রুটিন মেনে দেখা
করতে হবে না. কিংবা
বিকেল বেলায় ফুচকাও
খেতে হবে না. এত
অসীম সংখ্যক ..না’এর ভিড়ে
শুধু মাত্র একটা কাজ
করতে হবে আমি যখন
প্রতিদিন এক বার ভালবাসি
বলব….তুমি প্রতিবার
একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে একটু
খানি আদর মাখা
গলায় বলবে …পাগলি….

বৃষ্টির অভিমান







বৃষ্টি আমার সাথে আজ করেছে অভিমান
কতদিন হলো বৃষ্টি ধারায় করিনি সুখস্নান
বৃষ্টিজল ঝরেছে সবকিছু ছুয়েছে
জাগিয়েছে প্রকৃতিতে প্রাণ
তবু আমি ভিজিনি বৃষ্টি ছুয়ে দেখিনি
গাইনি বৃষ্টিজলের গান
বৃষ্টি নামে অচীন গ্রামে আকাশও কালো হয়
তবু আমার বৃষ্টি দেখার এখনও হলোনা সময়
একটু খানি বৃষ্টি পানি ছুয়ে দেখার জন্য
করেছি আমি কত পাগলামি পেরিয়েছি কত অরণ্য
অথচ আজ বৃষ্টি সুরে যাচ্ছি দূরে বহু দূরে
খুজে পাচ্ছিনা টান
তাই বৃষ্টিজলের দুচোখ জুড়ে
ঝাপসাটে অভিমান।।।

স্বার্থপরতা নাকি ভালবাসা ?







আমার ফ্রেন্ডলিস্টে একটি ভাবুক মেয়ে ছিল _নাম জেনি! ইনবক্সে নক করলে একদিনের মেসেজ অন্য দিন দিতো!! একদিন তার একটা স্ট্যাটাস দেখলাম __”আমার আর মনে হয় পড়ালেখা
করা হবে না! আব্বু খুব অসুস্থ ”
::
সাথে সাথে ইনবক্সে নক করি! সে ও সাথে সাথে রিপ্লাই দিলো! পরে জানতে পারলাম তার বাবার প্যারালাইজ হয়ে যায় হঠাৎ করে! সারা দিন চ্যাটিং করে  তার সম্পর্কে সব কিছু জানলাম_সে ও কষ্ট কে হালকা করার জন্য এমন ভাবে আমার সাথে সবকিছু শেয়ার করল মনে হয় আমি তার অনেক বেশি আপন!!
::
প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভালো একটা স্কলারশিপনিয়ে ভর্তি হয় সে! সেমিস্টার ফ্রি ১৫ হাজার মাত্র! ২মাস পরেই ১ম সেমিস্টার পরীক্ষা!
::
:ওই দিনে মোবাইল নাম্বার নেই তার কাছ থেকে! রাতে কথা হয় _যেমন দেখতে কিউট ছিলো ভয়েস টাও ছিলো সুইট! মনে মনে ভাবলাম এই সুযোগ! বাড়ি থেকে আমাকে প্রতিমাসে চলার টাকা দিতো! বাইক কিনার জন্য টিউশনি করতাম_আর সে টাকা জমা করতাম একাউন্টে!!
::
::
প্রায় দশ দিন কথা বলার পর অনেক ক্লোজ হয়ে যাই জেনির সাথে! একদিন হসপিটালে এসে জেনি আমাকে ফোন দেয় _সে দিনে তাকে প্রথম দেখি! অসম্ভব সুন্দরি! রাতে বাসায় এসে ঘুম নেই!
::
কয়েকদিন পর জেনির সাথে দেখা করলাম! তখন তাকে বলি _জেনি একটা কথা বলি? যদি কিছু মনে না করো _তোমার সেমিস্টারের টাকা আমি দিব! পড়ালেখা ছেড়ে দিও না!!
::
জেনি কোন কথা না বলে চলে যায়! রাতে ফোন দেই _ফোন ধরে না! পরে জেনি নিজেই ফোন দেয়__ফাহিম আমরা আগামি মাসে গ্রামে চলে যাব আমার এই সেমিস্টার ড্রপ যাবে! পরে একটা জব পেলে আসব! ফুফুর বাসায় থেকে জবের পাশাপাশি হয়ত স্ট্যাডি করব!!
::
অনেক কষ্ট হয়েছে জেনিকে আর তার আম্মু কে বুঝাতে! তার আম্মু আমাকে বিশ্বাস করে জেনিকে তার ফুফুর বাসায় রেখে তারা গ্রামে চলে যায়! আমার টাকা দিয়ে জেনি সেমিস্টার পরীক্ষা দেয়!
::
::
জেনিকে পরের মাসে কয়েকটা টিউশনি দিলাম! তার টাকা গুলো বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম তার আব্বুর চিকিৎসা ও ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার খরচের জন্য!!আর আমার টিউশনির টাকা গুলো দিয়ে তার সেমিস্টার ফ্রি দিতাম!!
::
::
টিউশনি করে রাত ১০ দিকে ২জন এক সাথে মিলিত হতাম! ফুটপাথে নিয়ন বাতির নিচে ফুসকা, চটপটি এক সাথে খেয়ে জেনিকে বাসায় দিয়ে আসতাম!! ছুটির দিন গুলোতে দুরে বেড়াতে যেতাম! আমাদের মধ্যে ছিলো স্বর্গীয় বন্ধুত্ব! তাই কোন নোংরামি প্রশ্নই আসে না!
::
::
অনেক বেশি ভালোবাসি জেনিকে! কিন্তু তা মনের মধ্যেই চেপে রাখি! এই চাপা কষ্ট অনেক!! কিন্তু আমি চাই না জেনি ভাবুক যে আমি স্বার্থের কারনে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি!
:: অসম্ভব সুন্দর দিন গুলো কখনো যে ৩ বছরের উপরে চলে যায়! ভাবতে ও পারি নাই! আমি যা বলতাম জেনি তাই করত দেখা করার সময় ১মিনিট ও লেট করতো না! রেজাল্ট ও ভালো করত! তাই তার সাথে ঝগরা লাগার কোন স্কুপই ছিলো না!!
::
::
জেনির ৪মাস আগেই আমার পড়ালেখা শেষ হয়!!টিউশনির পাশাপাশি জবের জন্য ট্রাই করতে লাগলাম!! জেনির ফাইনাল পরীক্ষার আগেই অন্য শহরে আমার জব হয়! চলে যাই সেখানে!!
::
অফিস থেকে ফিরে জেনিকে ফোন দিব তখনি তার মোবাইল থেকে মেসেজ __ আমি একজন কে ভালোবাসি! আম্মু তার সাথে বিয়ে ঠিক করেছেন! আমি এক পায়ে রাজি!!
::
মেসেজ টা দিয়েই সুইচ অফ!! আমি একটা মেসেজ দিলাম__তোমাকে কত বার বুঝাতে চেয়েছিলাম ভালবাসি! মনের সব কথা বুঝতে _একাবার ও বুঝার চেষ্টা করলে না? একবার ও বললে না যে আমি তোমাকে ভালোবাসি কি না??
::
::
বোকার মতো কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলি আর জেনির নাম্বারে ট্রাই করতে থাকি! তখনি জেনির আম্মুর ফোন __ সে কখন থেকে তোমাকে ফোন দিতাছি? লাইনই পাই না! জেনিকে নিয়ে তোমাদের বাসায় গিয়েছিলাম! তোমার ফ্যামিলির সবাই রাজি….শ্বাশুরি আম্মা ও আমার মা পরে আমাকে সারপ্রাইজ দিলেন…..আমাকে না জানিয়ে তলে তলে অনেক দুর…..!!
::
জেনি আমার মেসেজের রিপ্লাই দেয়__ হুম আমি বুঝেও না বুঝার ভান করেছি ভালোবাসা বুকে চেপে রেখেছি! যদি না করতাম তাহলে হয়তো আজ তোমাকে পেতাম না! একসাথে থাকতাম, আবেগে বশবতী হয়ে হয়তো নোংরামি চলে আসত আমাদের মাঝে__ঝগরা হতো_ভুল বোঝা বুঝি __এই জন্য জনাব! মনের কথা বুঝি বলেই আপনাকে না জানিয়ে সারপ্রাইজ দিলাম!!
::
::
বাসর ঘরে জেনি বসে আছে! পাশে গিয়ে বসলাম! লাল গোলাপ হাতেনিয়ে বললাম_ জেনি আমি তোমাকে ভালোবাসি সেই প্রথম যে দিন দেখেছিলাম সে দিন থেকেই! আমাকে ভালোবাসবে? তোমার হাতটা আমাকে ধরতে দিবে? জেনি আমাকে বুকে টেনে নিয়ে কানে কানে বলতে লাগল ___ প্রেমিকা হিসাবে না স্বামী হিসাবে বাসব? রাত গভীর দুজনের জমে থাকা ভালোবাসা দজন কে অনেক বেশি চেপে ধরেছে ::
বিদ্রঃ মানুষের বিপদের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পর যদি তার সাথে ভালো কোন সম্পর্ক তৈরি হয়! তবে সেটা কে আমি করুনার কারনে বা স্বার্থের জন্য সম্পর্ক বলতে নারাজ!!



‘শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন’’




শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন,
বনলতা সেন ।
কোথায় গিয়েছ তুমি আজ এই বেলা
মাছরাঙা ভোলেনি তো দুপুরের খেলা
শালিখ করে না তার নীড় অবহেলা
উচ্ছ্বাসে নদীর ঢেউ হয়েছে সফেন,
তুমি নাই বনলতা সেন ।
তোমার মতন কেউ ছিল কি কোথাও ?
কেন যে সবের আগে তুমি চলে যাও।
কেন যে সবের আগে তুমি
পৃথিবীকে করে গেলে শূন্য মরুভূমি
(কেন যে সবার আগে তুমি)
ছিঁড়ে গেলে কুহকের ঝিলমিল টানা ও পোড়েন,
কবেকার বনলতা সেন ।
কত যে আসবে সন্ধ্যা প্রান্তরে আকাশে,
কত যে ঘুমিয়ে রবো বস্তির পাশে,
কত যে চমকে জেগে উঠবো বাতাসে,
হিজল জামের বনে থেমেছে বুঝি রাত্রির ট্রেন,
নিশুথির বনলতা সেন।


ভালোবাসার মানুষ










ভালোবাসার মানুষ সে নয় ,
যাকে তুমি দীর্ঘ সময় ধরে চেনো।
অথবা……………
যে তোমার জীবনে প্রথম এসেছিলো?
অথবা……………
যে সবচেয়ে বেশি তোমার খেয়াল রেখেছিল…
ভালোবাসার মানুষ হল সে,
যে কখনো তোমায় ছেড়ে যাবে না,
যে এসেছিলো,
আছে এবং থাকবে সারাজীবন।।

সব সময় তোমার সাথে ছিলাম , আছি , থাকব




একটি ছেলে তিন বছর সম্পর্কের পর
মেয়েকে বলতেছে , ছেলেঃ আমার
মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েঃ কি ??
ছেলেঃ হ্যা , আমি আমার জীবনকে তোমার
সাথে থেকে নষ্ট করতে পারবো না । মেয়েঃ তুমি এই গুলো কি বলতেছ ??? এই রকম
করো না আমার সাথে ।
আমার ভুলটা কোথায় ? প্লিস বল ।
ছেলেঃ আমি ব্রেক আপ চাচ্ছি ।
মেয়েঃ :
‘( আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না ছেলেঃ কিন্তু আমার ব্রেক আপ চাই ।
এইটা বলে ছেলে টা চলে গেল ।
মেয়েটি রাত্রে বেলা অনেক কান্নাকাটি করল

সে বুঝে উঠতে পারছেলিনা যে সে কি হারিয়েছে ।
এই রকম কিছু দিন যাওয়ার পর ও ছেলেটি মেয়েটির
সাথে যোগাযোগ করলনা । তখন
মেয়েটি নিজেকে অনেক শক্ত করল ।
এবং সে তার বাবমাকে তাকে বিয়ে দেওয়ার
জন্যে পাত্র
দেখতে বলল ।তারপর সে অন্য একটি ছেলে কে বিয়ে করল । সে সবসময় ভাল
থাকার চেষ্টা করত কিন্তু পারত না ।
এমনকি তার
বিয়ের
পর ও প্রত্যেক রাতে সে কাঁদত সেই ছেলেটির
জন্যে যে তাকে অন্ধকারে একা রেখে চলে গেছে । সে এখনো বিশ্বাস করে তার সেই মানুষটি তার
কাছে আসবে ,
এবং তাকে নিয়ে একসাথে থাকবে ,কিন্তু তা আর
হল না ।
বিয়ের ২ বছর পর মেয়েটি ছেলেটির
বাড়িতে গেল তার বোনের সাথে দেখা করতে । তার বোনতাকে ছেলেটির রুমে নিয়ে গেল
এবং তার হাতে একটি চিঠি দিল
এবং কেঁদে কেঁদে বলল , যে তার
ভাই ২ বছর আগে ক্যান্সার এ মারা গেছে ।
তারপর মেয়েটি বাড়িতে গেল ,তারপর
চিঠি টি খুলে পড়তে লাগলো “জান
আমি জানি তুমি এখনো আমার
জন্যে অপেক্ষা করছ ,কিন্তু এই তা হয়ত আমাদের
নিয়তিতে নেই । তুমি মন খারাপ করো না ,
আমি এই কাজ করেছি শুধু তোমাকে শক্ত করার
জন্যে ,তোমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে। কখনো নিজেকে দোষারোপ করো না কোন কিছুর
জন্যে । আমি এখনো বেচে আছি তোমার হৃদয়ের
মাঝে । আছি না ?? এবং তোমার
ভালবাসা কখনো হারাবে না । আশা ছেড়ো না ,
সবসময়
হাসি খুশি থাকবে ,তুমি জানো আমি তোমার হাসি মুখ তা দেখতে অনেক ভালোবাসি ।
আমি সব
সময় তোমার সাথে ছিলাম , আছি , থাকব ।