Sunday, May 14, 2017


বয়ফ্রেন্ড জলপরী গল্প





এক বয়ফ্রেন্ড গেছে তার গার্লফ্রেন্ড কে
নিয়ে পুকুর দেখতে-
.
হটাৎ গার্লফ্রেন্ড পুকুরে পরে গেলো....
অতপর,,,
বয়ফ্রেন্ড কাঁদতে লাগলো...
.
বয়ফ্রেন্ডের কান্না শুনে এক জলপরী উঠে
এসে বললো-
.
জলপরীঃ এই বালক,কাদছো
কেনো??
বয়ফ্রেন্ড: আমার গফ পানিতে পড়ে গেছে...
তাই কাঁদছি॥
.
জলপরীঃ আচ্ছা,অপেক্ষা করো আমি তোমার
গফরে
এনে দিচ্ছি..
.
এই বলে জলপরী পানিতে
ডুব দিলো..
অতপর জলপরী নিয়ে এল এক কালো
মেয়েকে।
জলপরী ছেলকে জিজ্ঞাসা করল: এটাই কি
তোমার গফ?
ছেলে চিনতে না পেরে অস্বীকার করল।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এরপর কি ভাবছেন জলপরী আরেকটা সুন্দর
মেয়ে তুলবে?
জ্বী না।
অস্বীকার করায় ছেলেরে কইশ্যা এক চড় দিয়া
কইল:
.
.
.
.
হারামজাদা ভাল করে দেখ এটাই তোর
গার্লফ্রেন্ড।
পানিতে পরে মেকাপ উঠে গেছে।

Friday, May 12, 2017


আমি খুব অল্প কিছু চাই-



 আমাকে ভালবাসতে হবে না,
ভালবাসি বলতে হবে না.
মাঝে মাঝে গভীর আবেগ
নিয়ে আমার ঠোঁট
দুটো ছুয়ে দিতে হবে না.
কিংবা আমার জন্য রাত
জাগা পাখিও
হতে হবে না.
অন্য সবার মত আমার
সাথে রুটিন মেনে দেখা
করতে হবে না. কিংবা
বিকেল বেলায় ফুচকাও
খেতে হবে না. এত
অসীম সংখ্যক ..না’এর ভিড়ে
শুধু মাত্র একটা কাজ
করতে হবে আমি যখন
প্রতিদিন এক বার ভালবাসি
বলব….তুমি প্রতিবার
একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে একটু
খানি আদর মাখা
গলায় বলবে …পাগলি….

বৃষ্টির অভিমান







বৃষ্টি আমার সাথে আজ করেছে অভিমান
কতদিন হলো বৃষ্টি ধারায় করিনি সুখস্নান
বৃষ্টিজল ঝরেছে সবকিছু ছুয়েছে
জাগিয়েছে প্রকৃতিতে প্রাণ
তবু আমি ভিজিনি বৃষ্টি ছুয়ে দেখিনি
গাইনি বৃষ্টিজলের গান
বৃষ্টি নামে অচীন গ্রামে আকাশও কালো হয়
তবু আমার বৃষ্টি দেখার এখনও হলোনা সময়
একটু খানি বৃষ্টি পানি ছুয়ে দেখার জন্য
করেছি আমি কত পাগলামি পেরিয়েছি কত অরণ্য
অথচ আজ বৃষ্টি সুরে যাচ্ছি দূরে বহু দূরে
খুজে পাচ্ছিনা টান
তাই বৃষ্টিজলের দুচোখ জুড়ে
ঝাপসাটে অভিমান।।।

স্বার্থপরতা নাকি ভালবাসা ?







আমার ফ্রেন্ডলিস্টে একটি ভাবুক মেয়ে ছিল _নাম জেনি! ইনবক্সে নক করলে একদিনের মেসেজ অন্য দিন দিতো!! একদিন তার একটা স্ট্যাটাস দেখলাম __”আমার আর মনে হয় পড়ালেখা
করা হবে না! আব্বু খুব অসুস্থ ”
::
সাথে সাথে ইনবক্সে নক করি! সে ও সাথে সাথে রিপ্লাই দিলো! পরে জানতে পারলাম তার বাবার প্যারালাইজ হয়ে যায় হঠাৎ করে! সারা দিন চ্যাটিং করে  তার সম্পর্কে সব কিছু জানলাম_সে ও কষ্ট কে হালকা করার জন্য এমন ভাবে আমার সাথে সবকিছু শেয়ার করল মনে হয় আমি তার অনেক বেশি আপন!!
::
প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভালো একটা স্কলারশিপনিয়ে ভর্তি হয় সে! সেমিস্টার ফ্রি ১৫ হাজার মাত্র! ২মাস পরেই ১ম সেমিস্টার পরীক্ষা!
::
:ওই দিনে মোবাইল নাম্বার নেই তার কাছ থেকে! রাতে কথা হয় _যেমন দেখতে কিউট ছিলো ভয়েস টাও ছিলো সুইট! মনে মনে ভাবলাম এই সুযোগ! বাড়ি থেকে আমাকে প্রতিমাসে চলার টাকা দিতো! বাইক কিনার জন্য টিউশনি করতাম_আর সে টাকা জমা করতাম একাউন্টে!!
::
::
প্রায় দশ দিন কথা বলার পর অনেক ক্লোজ হয়ে যাই জেনির সাথে! একদিন হসপিটালে এসে জেনি আমাকে ফোন দেয় _সে দিনে তাকে প্রথম দেখি! অসম্ভব সুন্দরি! রাতে বাসায় এসে ঘুম নেই!
::
কয়েকদিন পর জেনির সাথে দেখা করলাম! তখন তাকে বলি _জেনি একটা কথা বলি? যদি কিছু মনে না করো _তোমার সেমিস্টারের টাকা আমি দিব! পড়ালেখা ছেড়ে দিও না!!
::
জেনি কোন কথা না বলে চলে যায়! রাতে ফোন দেই _ফোন ধরে না! পরে জেনি নিজেই ফোন দেয়__ফাহিম আমরা আগামি মাসে গ্রামে চলে যাব আমার এই সেমিস্টার ড্রপ যাবে! পরে একটা জব পেলে আসব! ফুফুর বাসায় থেকে জবের পাশাপাশি হয়ত স্ট্যাডি করব!!
::
অনেক কষ্ট হয়েছে জেনিকে আর তার আম্মু কে বুঝাতে! তার আম্মু আমাকে বিশ্বাস করে জেনিকে তার ফুফুর বাসায় রেখে তারা গ্রামে চলে যায়! আমার টাকা দিয়ে জেনি সেমিস্টার পরীক্ষা দেয়!
::
::
জেনিকে পরের মাসে কয়েকটা টিউশনি দিলাম! তার টাকা গুলো বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম তার আব্বুর চিকিৎসা ও ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার খরচের জন্য!!আর আমার টিউশনির টাকা গুলো দিয়ে তার সেমিস্টার ফ্রি দিতাম!!
::
::
টিউশনি করে রাত ১০ দিকে ২জন এক সাথে মিলিত হতাম! ফুটপাথে নিয়ন বাতির নিচে ফুসকা, চটপটি এক সাথে খেয়ে জেনিকে বাসায় দিয়ে আসতাম!! ছুটির দিন গুলোতে দুরে বেড়াতে যেতাম! আমাদের মধ্যে ছিলো স্বর্গীয় বন্ধুত্ব! তাই কোন নোংরামি প্রশ্নই আসে না!
::
::
অনেক বেশি ভালোবাসি জেনিকে! কিন্তু তা মনের মধ্যেই চেপে রাখি! এই চাপা কষ্ট অনেক!! কিন্তু আমি চাই না জেনি ভাবুক যে আমি স্বার্থের কারনে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি!
:: অসম্ভব সুন্দর দিন গুলো কখনো যে ৩ বছরের উপরে চলে যায়! ভাবতে ও পারি নাই! আমি যা বলতাম জেনি তাই করত দেখা করার সময় ১মিনিট ও লেট করতো না! রেজাল্ট ও ভালো করত! তাই তার সাথে ঝগরা লাগার কোন স্কুপই ছিলো না!!
::
::
জেনির ৪মাস আগেই আমার পড়ালেখা শেষ হয়!!টিউশনির পাশাপাশি জবের জন্য ট্রাই করতে লাগলাম!! জেনির ফাইনাল পরীক্ষার আগেই অন্য শহরে আমার জব হয়! চলে যাই সেখানে!!
::
অফিস থেকে ফিরে জেনিকে ফোন দিব তখনি তার মোবাইল থেকে মেসেজ __ আমি একজন কে ভালোবাসি! আম্মু তার সাথে বিয়ে ঠিক করেছেন! আমি এক পায়ে রাজি!!
::
মেসেজ টা দিয়েই সুইচ অফ!! আমি একটা মেসেজ দিলাম__তোমাকে কত বার বুঝাতে চেয়েছিলাম ভালবাসি! মনের সব কথা বুঝতে _একাবার ও বুঝার চেষ্টা করলে না? একবার ও বললে না যে আমি তোমাকে ভালোবাসি কি না??
::
::
বোকার মতো কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলি আর জেনির নাম্বারে ট্রাই করতে থাকি! তখনি জেনির আম্মুর ফোন __ সে কখন থেকে তোমাকে ফোন দিতাছি? লাইনই পাই না! জেনিকে নিয়ে তোমাদের বাসায় গিয়েছিলাম! তোমার ফ্যামিলির সবাই রাজি….শ্বাশুরি আম্মা ও আমার মা পরে আমাকে সারপ্রাইজ দিলেন…..আমাকে না জানিয়ে তলে তলে অনেক দুর…..!!
::
জেনি আমার মেসেজের রিপ্লাই দেয়__ হুম আমি বুঝেও না বুঝার ভান করেছি ভালোবাসা বুকে চেপে রেখেছি! যদি না করতাম তাহলে হয়তো আজ তোমাকে পেতাম না! একসাথে থাকতাম, আবেগে বশবতী হয়ে হয়তো নোংরামি চলে আসত আমাদের মাঝে__ঝগরা হতো_ভুল বোঝা বুঝি __এই জন্য জনাব! মনের কথা বুঝি বলেই আপনাকে না জানিয়ে সারপ্রাইজ দিলাম!!
::
::
বাসর ঘরে জেনি বসে আছে! পাশে গিয়ে বসলাম! লাল গোলাপ হাতেনিয়ে বললাম_ জেনি আমি তোমাকে ভালোবাসি সেই প্রথম যে দিন দেখেছিলাম সে দিন থেকেই! আমাকে ভালোবাসবে? তোমার হাতটা আমাকে ধরতে দিবে? জেনি আমাকে বুকে টেনে নিয়ে কানে কানে বলতে লাগল ___ প্রেমিকা হিসাবে না স্বামী হিসাবে বাসব? রাত গভীর দুজনের জমে থাকা ভালোবাসা দজন কে অনেক বেশি চেপে ধরেছে ::
বিদ্রঃ মানুষের বিপদের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পর যদি তার সাথে ভালো কোন সম্পর্ক তৈরি হয়! তবে সেটা কে আমি করুনার কারনে বা স্বার্থের জন্য সম্পর্ক বলতে নারাজ!!



‘শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন’’




শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন,
বনলতা সেন ।
কোথায় গিয়েছ তুমি আজ এই বেলা
মাছরাঙা ভোলেনি তো দুপুরের খেলা
শালিখ করে না তার নীড় অবহেলা
উচ্ছ্বাসে নদীর ঢেউ হয়েছে সফেন,
তুমি নাই বনলতা সেন ।
তোমার মতন কেউ ছিল কি কোথাও ?
কেন যে সবের আগে তুমি চলে যাও।
কেন যে সবের আগে তুমি
পৃথিবীকে করে গেলে শূন্য মরুভূমি
(কেন যে সবার আগে তুমি)
ছিঁড়ে গেলে কুহকের ঝিলমিল টানা ও পোড়েন,
কবেকার বনলতা সেন ।
কত যে আসবে সন্ধ্যা প্রান্তরে আকাশে,
কত যে ঘুমিয়ে রবো বস্তির পাশে,
কত যে চমকে জেগে উঠবো বাতাসে,
হিজল জামের বনে থেমেছে বুঝি রাত্রির ট্রেন,
নিশুথির বনলতা সেন।


ভালোবাসার মানুষ










ভালোবাসার মানুষ সে নয় ,
যাকে তুমি দীর্ঘ সময় ধরে চেনো।
অথবা……………
যে তোমার জীবনে প্রথম এসেছিলো?
অথবা……………
যে সবচেয়ে বেশি তোমার খেয়াল রেখেছিল…
ভালোবাসার মানুষ হল সে,
যে কখনো তোমায় ছেড়ে যাবে না,
যে এসেছিলো,
আছে এবং থাকবে সারাজীবন।।

সব সময় তোমার সাথে ছিলাম , আছি , থাকব




একটি ছেলে তিন বছর সম্পর্কের পর
মেয়েকে বলতেছে , ছেলেঃ আমার
মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েঃ কি ??
ছেলেঃ হ্যা , আমি আমার জীবনকে তোমার
সাথে থেকে নষ্ট করতে পারবো না । মেয়েঃ তুমি এই গুলো কি বলতেছ ??? এই রকম
করো না আমার সাথে ।
আমার ভুলটা কোথায় ? প্লিস বল ।
ছেলেঃ আমি ব্রেক আপ চাচ্ছি ।
মেয়েঃ :
‘( আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না ছেলেঃ কিন্তু আমার ব্রেক আপ চাই ।
এইটা বলে ছেলে টা চলে গেল ।
মেয়েটি রাত্রে বেলা অনেক কান্নাকাটি করল

সে বুঝে উঠতে পারছেলিনা যে সে কি হারিয়েছে ।
এই রকম কিছু দিন যাওয়ার পর ও ছেলেটি মেয়েটির
সাথে যোগাযোগ করলনা । তখন
মেয়েটি নিজেকে অনেক শক্ত করল ।
এবং সে তার বাবমাকে তাকে বিয়ে দেওয়ার
জন্যে পাত্র
দেখতে বলল ।তারপর সে অন্য একটি ছেলে কে বিয়ে করল । সে সবসময় ভাল
থাকার চেষ্টা করত কিন্তু পারত না ।
এমনকি তার
বিয়ের
পর ও প্রত্যেক রাতে সে কাঁদত সেই ছেলেটির
জন্যে যে তাকে অন্ধকারে একা রেখে চলে গেছে । সে এখনো বিশ্বাস করে তার সেই মানুষটি তার
কাছে আসবে ,
এবং তাকে নিয়ে একসাথে থাকবে ,কিন্তু তা আর
হল না ।
বিয়ের ২ বছর পর মেয়েটি ছেলেটির
বাড়িতে গেল তার বোনের সাথে দেখা করতে । তার বোনতাকে ছেলেটির রুমে নিয়ে গেল
এবং তার হাতে একটি চিঠি দিল
এবং কেঁদে কেঁদে বলল , যে তার
ভাই ২ বছর আগে ক্যান্সার এ মারা গেছে ।
তারপর মেয়েটি বাড়িতে গেল ,তারপর
চিঠি টি খুলে পড়তে লাগলো “জান
আমি জানি তুমি এখনো আমার
জন্যে অপেক্ষা করছ ,কিন্তু এই তা হয়ত আমাদের
নিয়তিতে নেই । তুমি মন খারাপ করো না ,
আমি এই কাজ করেছি শুধু তোমাকে শক্ত করার
জন্যে ,তোমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে। কখনো নিজেকে দোষারোপ করো না কোন কিছুর
জন্যে । আমি এখনো বেচে আছি তোমার হৃদয়ের
মাঝে । আছি না ?? এবং তোমার
ভালবাসা কখনো হারাবে না । আশা ছেড়ো না ,
সবসময়
হাসি খুশি থাকবে ,তুমি জানো আমি তোমার হাসি মুখ তা দেখতে অনেক ভালোবাসি ।
আমি সব
সময় তোমার সাথে ছিলাম , আছি , থাকব ।
 

এক টুকরো মেঘ এনেছি

 
 
 
  
এই মেয়েটা কি পাগল নাকি ? এমন পাগলামো কেউ করে নাকি? আমি ভেবে পাই না এই মেয়েটার মনে কি চলে ! এতো সিনেমাটিক হলে কি চলে নাকি ?
আম নিশিকে বললাম
-কি করছো তুমি ? এভাবে কেউ জড়িয়ে ধরে ? তাও আবার সবার সামনে ?
নিশিতো আমাকে ছাড়লোই না বরং আরো একটু জোড়ে জড়িয়ে ধরলো । বলল
-জানো এই কয় দিনে তোমাকে আমি কি পরিমান মিস করেছি ? আর তুমি তো মজা করে বেরিয়েছ !
-আরে বাবা ঘুড়তে গিয়েছিলাম । মাত্র তিন দিনের জন্য ! তোমাকে তো বলেছিলাম, নাকি ? এখন একটু ছাড়ো ! মানুষ জন কি ভাবছে ?
আসলে মানুষ জন কি ভাবছে সেটা নিয়ে আম খুব একটা ভাবছি না আমি ভাবছি তন্নী কে নিয়ে । ও যখন দেখবে যে নিশি আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে রেখেছে ও কি ভাববে !! আমাদের গ্রুপ থেকে ট্যুরে গিয়েছিলাম সিলেটে । তিন দিনের জন্য ! আজ মাত্র ফিরলাম । আমি ভাবি নি নিশি আমাকে রিসিভ করার জন্য ষ্টেশনে এসে হাজির হবে । আমি ট্রেন থেকে নেমেছি ওমনি এসে আমাকে সোজাসুজি জড়িয়ে ধরলো । এই মেয়েটা এতো সিনেমা দেখে ! দিনের মধ্য কমপক্ষে ১০০ বার ফোন দিতো তবুও নিশির মন ভরতো না । আমি তো ভাবতেই পারি নি ও এখানে চলে আসবে ।
নিশি যখন আমাকে ছাড়লো আমার সব বন্ধুরা চলে এসেছে ! নিশি একটু সরে দাড়ালো । ঠিক তখনই আমি তন্নী কে দেখতে পেলাম । সুমনের পেছনে দাড়িয়ে আছে । ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে আমাকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্যটা ও দেখেছে ! আর এটাও খুব স্পষ্ট যে ব্যাপারটা ও একদম পছন্দ করে নি ।
তন্নী আর আমার সাথে কথাই বলল না । গম্ভীর হয়েই দাড়িয়ে রইলো সুমনের পেছনে । আমি কিছু বললাম না । না জানি কি সিন ক্রিয়েট করে ফেলে !!
এই মেয়ে গুলো এতো কনফিউজিং ক্যারাক্টার কখন কি যে করে বোঝাই মুসকিল !! পুরো ট্রিপ জুরে তন্নী আমার পাছ একটুও ছাড়ে নি আর নিশিকে দেখে আমাকে যেন চিনছেই না !
আজিব !!

নিশিকে বাসায় পৌছে দিতে দিতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল । রুমে পৌছাবো ঠিক এই সময়ে তন্নীর ফোন !
-কোথায় তুই ?
-এই তো ! রুমে ঢুকবো !
-একটু ?আয় তো !
-এখন ? মাত্র রুমে ঢুকবো!
-এখনও ঢুকিস নিতো ! আসতে বলছি আয় ! তোমার পুঁচকে গার্লফ্রেন্ড বললে তো ঠিকই চলে যেতে !
-আচ্ছা বাবা আসছি ! কোথায় আসবো !
তন্নীর কাছে পৌছাতে পৌছাতে রাত হয়ে গেল । ওদের বাসার পাশের গলিতে দাড়িয়ে ছিল আমার জন্য !
-বল ! কি জন্য ডাকলি !
তন্নীদের এই গলিটা মোটামুটি নির্জনই বলা চলে ! আসলে ভিআইপি এলাকা তো । যে কেউ আসতে পারে না ।
তন্নী কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন । ওর মুখটা বেশ গম্ভির মনে হল
-কি ব্যাপার ? এতো গম্ভীর কেন ?
-তোর গার্লফ্রেন্ড এমন করলো কেন ?
-কেমন?
-কেমন মানে ? একে বারে যেন বাংলা সিনেমা । তুমি নায়ক সে নায়িকা !
-আরে এতো গম্ভীর কেন রে তুই ? কি হয়েছে তাতে ? ও তো একটু এমনই !
তন্নী আমার দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন ।
বলল
-তুই ওকে কবে বলবি?
-কি বলবো ?
-কি বলবি বুঝতে পারছিস না ?
আমি তন্নীর মুখ দেখে খানিকটা চিন্তিত হলাম ।
ঐদিনকার ঐ ঘটনা কে তন্নী কি তাহলে খুব সিরিয়াসলী নিয়েছে ?
কি এক ঝামেলায় পড়লাম ।
তন্নী এগিয়ে এসে আমার হাত টা ধরে বলল
-দেখ, আমি একটা ভুল করেছিলাম তাই আমি কষ্ট পাচ্ছি । মেনেও নিয়েছিলাম । কিন্তু এখন আমি আর তা মনাবো না । কিছুতেই না ।
-তন্নী তুই কি বলছিস এসব ? তোর মাথা ঠিক আছে তো ? দেখ ঐদিন যা হয়েছে তা ইচ্ছে করে হয় নি । এটা যেমন তুই জানিস আমিও জানি !
এই কথা শোনার পর শোনার পর তন্নীর কি হল ঠিক বলতে পারবো না তবে ও সরাসরি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো ! আমি বুঝতেই পারি নি যে ও এমনটা করবে ! তবে ভাগ্য ভালো যে আশে পাশে কেউ নাই ! এমনিতেই অন্ধকার হয়ে এসেছে !
-এই কি করছিস তুই ? ছাড় ! ছাড় বলছি ।
তন্নীর আমার কথা খুব একটা কানে গেল বলে মনে হল না । আমাকে কিস করার জন্য আর একটু এগিয়ে এল । আমি এবার জোর করেই নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম । বললাম
-কি করছিস তুই ?
-কেন ? এখন ভাল লাগছে না ? ঐদিন আমার ঠোট তোর কাছে খুব মিষ্টি লেগেছিল । এখন নিজের গার্লফ্রেন্ড কে পেয়ে আমার কথা ভুলে গেলি ।
তারপর তন্নী বেশ কিছু খারাপ কথা বলল !
আমি চুপ চাপ শুনলাম কেবল !
কথা শেষে বললাম
-তোর মাথা এখন গরম । মাথা ঠান্ডা কর ! আমি যাই !
-খবরদার বলছি যাবি না !
-আমি যাই ।
আমি আর দাড়ালাম না । পিছন ঘুরে হাটা দিলাম ।
তন্নী মাথা এমনিতেই খারাপ । এখানে থাকলে আরও কি হবে কে জানে !!
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ঐদিন তন্নী ইচ্ছা করেই কাজ টা করেছিল !
অন্ধকার পথে হাটতে হাটতে নিশির মুখটা ভেসে উঠল । ওর কথা মনে হতেই মনের একটা আনন্দ অনুভব করলাম । মেয়েটা এমন পাগলামো করে মাঝে মাঝে ।
একবার কি মনে হল আমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবে । তাও আবার রিক্সায় চড়ে । আকাশে মেঘ হলে আমাকে ফোন দিত । আমরা কত ঘুরেছি বৃষ্টির অপেক্ষায় কিন্তু বৃষ্টির দেখা মেলে নি ।
কিন্তু সিলেটে যাওয়ার আগে একদিন আমি আর তন্নী রিক্সায় করে নিউমার্কেটে যাচ্ছিলাম বলা নেই কওয়া নেই হুড়মুড় করে বৃষ্টি নেমে গেল । আমি হুট তুলতে যাবো তন্নী কিছুতেই তুলতে দিল না । আমার দিকে তাকিয়ে খুব হাসতে লাগলো । তারপর বলল
-দেখছিস উপরয়ালাও চায় না তুই নিশির সাথে বৃষ্টিতে ভিজিস !
পরে নিশি খব মন খারাপ করেছিল । আমি বলতে চাই নি নিশিকে । তন্নী নিজেই নিশিকে ফোন করে বলেছে । কি বলেছিল কে জানে কিন্তু পর যখন নিশির মন খুব খারাপ ছিল ।
কি বলেছিল সেটা দুজনের কেউই আমাকে বলেনি কিন্তু নিশ্চই কিছু একটা বলেছিল যেটাতে নিশির মন খুব খারাপ ছিল ।
আমি কারন জানতে চাইলেও নিশি কোন জবাব দিল না।
অনেক্ষন পর মুখ গোমড়া করে বলল
-জানো অপু, আমার মাঝে মাঝে খুব ভয় হয় !
-কেন কিসের ভয় !
-আমার মনে হয় তোমাকে আমি হারিয়ে ফেলবো ।
-এমন কথা কেন বলছো ?
নিশি কোন জবাব দিলো না । মন খারাপ করেই রইলো !
আমি বুঝলাম তন্নী আসলেই এমন কিছু বলেছে !
আমি তন্নীর কাছে জানতে চাইলাম । কিন্তু ও কোন কথাই বলল না
-তুই নিশিকে কি বলেছিস রে ?
তন্নী কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর হাসতে লাগলো ।
-তোর পুচকে গিএফ কি খুব কান্না কাটি করছিল ?
-দেখ ! ফান করিস না । সিরিয়াস লি বল ! কি বলেছিস ?
-বলব না । কি করবি !
আমি কিছু বলতে পারি না । এই মেয়েটার মনে কি চলছে ? কে জানে ?
তন্নী আবার বলল
-তুই ভাবিস না তোকে আমি এমনিতেই ছেড়ে দিবো !! কিছুতেই ছাড়বো না । দেখি তোর পিচ্চি জিএফের ভালবাসায় কত জোর ! তোকে আটকয়ে রাখতে পারে কি না !
আমি এবা রএকটু ভয় পেলাম । তন্নী এমন কথা কেন বলছে !! আমি এতো দিনে ওকে যতটা চিনেছি তাতে অবশ্য একটু ভয়ের কথাই ! যদি তন্নী একবার কোন কিছু ঠিক করে ফেলে তাহলে সেটা ও করেই ছাড়বে ! যে কোন কিছুর বিবিময়েই হোক !
আমি খানিকটা টেনশন ফিল করলাম । আচ্ছা তন্নী সব কিছু বলেছে নাকি নিশিকে ! তাহলে তো সমস্যা হবে । মেয়েটা যা ইমোশনাল এসব কথা শুনে আবার কিছু করে না ফেলে ।
আমি পড়েছি এক ঝামেলায় । এই মেয়ে গুলো এমন ভেজাল তৈরি করে না !
রাতের বেলা নিশির ফোন । অনেক রারে ! ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি প্রায় তিনটা বাজে । এতো রাতে কেন ফোন দিল ।
কোন সমস্যা হল নাকি ?
আমি একটু টেনশন নিয়েই ফোনটা ধরলাম ।
নিশি চুপ করে রইলো । কোন কথা বলল না প্রথমে !
-কি হল কথা বলবা না ?
আমি শুরু করলাম !
আরো কিছুক্ষন নিরবতা । তারপর
-তুমি কি তন্নী আপুকে ভালবাস?
-মানে ?
-সত্যি কথা বলবা ? আমার সাথে রিলেশনের আগে তুমি কি তাকে ভালবাসতে ?
-কি বলছো এসব ? কে বলল তোমাকে এই কথা ? তন্নী বলেছে ?
-যেই বলেছে ! কথাটা সত্যি কি না বল ।
আমি একটু সময় নিলাম । তারপর বললাম
-হ্যা কথাটা সত্যি ! আমি ওকে প্রোপজ করেছিলাম । কিন্তু ও আমাকে রিফিউজ করেছিল !
কথাটা আসলেই সত্যি । নিশি আমার প্রথম ভালবাসা না । ভার্সিটির প্রথম দিকে তন্নীর প্রতি বেশ দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম । প্রোপজও করেছিলাম । কিন্তু তন্নী সেটা গ্রহন করে নি । কেন করে নি কে জানে !!
কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বে তেমন কোন একটা প্রভাব পড়ে নি । আমি যাতে ওর সামনে অপ্রস্তুত না হয়ে পড়ি সে কারনে ও নিজেই আমার দিকে বেশি এগিয়ে এসেছিল । আমাকে বুঝিয়েছিল যে এই সব প্রেম ভালবাসা তার জন্য না । এটার জন্য আমাদের বন্ধুত্ব যেন নষ্ট না হয় ! তারপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায় !
তারও কিছুদিন পর আমার নিশির সাথে পরিচয় হয় ! সেখান থেকেই ওকে ভাল লাগে । তারপর ওর সাথেই আছি । কিন্তু আমার একটা ভুল হয়ে গেছে যে নিশিকে আমার এই কথাটা না বলা । বললে আজ হয়তো এই কথাটা বলতে পারতো না । আমি বুঝতে পারছি এর পরের কথা কি বলবে ? নিশি বলবে আমাকে এটোদিন বল নি কেন এই কথা ?
কিন্তু নিশি এই প্রশ্নটা করলো না । আমাকে বলল
-এখনও কি ভালবাস তাকে ?
-মানে ? না ! দেখো একটা সময় ছিল যে ওকে পছন্দ করতাম কিন্তু তুমি আসার পর থেকে আমি আর ভাবিও নি । ও আমার কেবলই বন্ধু !!
-আচ্ছা বন্ধু ?? তাহলে সিলেটে গিয়ে ওকে চুম খেয়েছ কেন ?
-মানে ????
আমি আকাশ থেকে পড়লাম । তন্নী এই কথা যে ওকে বলেদিবে আমি ভাবতেই পারি নি !
-এখনও কি বলবা যে তুমি ওর কেবল বন্ধু !
-দেখ ব্যপারটা এই রকম না । পরিস্থিতিটা এমন ছিল যে ….।
আমি ঠিক বোঝাতে পারছিলাম না ঠিক কিভাবে বোঝাবো ওকে !
-দেখ অপু আমি কিন্তু ওটোটা কচি খুকি না যে তুমি আমাকে যা বলবা আমি তাই বুঝবো !!
-দেখ ব্যাপারটা ঐ রকম না !
-আমি কিছু শুনতে চাচ্ছি না যে ব্যাপার টা কি রকম । আমি কেবল জানতে চাই তুমি তন্নীকে চুম খেয়েছ কিনা ? আর কোন কথা না !
-হ্যা ন। কিন্তু………..।
আমার কথা শেষ হবার আগেই নিশি ফোন রেখে দিল ।
তন্নীর উপর মেজাজটা খুব খারাপ হল ! মেয়েটা এমন কেন করলো ? কেন ?
একটা সময় ছিল তন্নী নিজেই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল ।
ওর ভাষ্য অনুযায়ী প্রেম ভালবাসা ওর জন্য না আর এখন ও নিজের আমাদের মধ্য এমন প্যাচ লাগিয়ে দিল ।
আমি বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাপারটা ক্ষাল করছিলাম । তন্নীর মধ্যে কেমন একটা যেন পরিবর্তন এসেছে । বিশেষ করে আমাকে যখন নিশির সাথে দেখতো অথবা যখন আমি নিশির সাথে ফোনে কথা বলতাম ওর মুখ কেমন যেন গম্ভীর হয়ে যেত !
তারপর কেমন একটা ভার ভার করে থাকতো ! আমার সাথে ঠিক কথাও বলতো না কিছ সময় !

ভালোবাসা




এমন ভালোবাসার
মানুষটিকে অবহেলা করোনা,
যে তোমার চোখে জল আসার
আগে মুছে দেওয়ার
চেষ্টা করে…
কারণ,
কাউকে ভালোবাসা সহজ,
কিন্তু,
ভালোবাসা পাওয়া অনেক
অনেক কঠিন…


ভালোবাসো বলেই রাগ দেখাতে পারছো







ইমা খুব মনোযোগ দিয়ে টাকাগুলো গুনে দেখলো। একহাজার টাকার দশটা নোট। বেতন পাবার পর যখন অনিক টাকাগুলো এনে ইমার হাতে দেয়, তখন সে প্রতিবার গুনে দেখে। হয়তো মনের ভেতর গোপন একটা স্বপ্ন- এবার বোধহয় দু একটা নোট বেশি আসবে… মাসের শেষে আর ধার করতে হবে না…
ইমার ছেলেমানুষী স্বপ্নটা গত এক বছরে একবারো পূরন হয়নি। অবশ্য ইমার স্বপ্নমাখা হাতে টাকা গোনা তবু থেমে থাকে না।
টাকাগুলো ভাঁজ করে ইমা বললো,
-অনিক, এভাবে আর কতদিন?
=কোন ভাবে?
-আমি কী বলতে চাইছি তুমি বোঝো না?
=নাহ!
-ধুর, এমন কেন তুমি?
ইমা কী বলতে চায় তা অনিক খুব ভালোভাবেই বোঝে। তবে সংসার এমন একটা জায়গা যেখানে অনেক কিছু বুঝেও না বোঝার ভান করতে হয়। কম বুঝলে কম কষ্ট।
ইমা আবারো বলতে শুরু করে,
-কী হলো? কথা বলো না কেন? এই কটা টাকা দিয়ে কিভাবে চলবে আমাদের? আর কতদিন এভাবে চলবো?
=ধৈর্য্য ধরো
-আর কত?
=ভালোবাসো না আমাকে?
ইমা প্রশ্নের জবাব দিলো না। শুধু অগ্নিদৃষ্টিতে একবার অনিকের দিকে তাকালো। ভালোবাসার প্রশ্নে বিবাহিত নারীরা কখনো “না” বলতে পারে না। তাই এজাতীয় প্রশ্নের উত্তর তারা দেয় চোখ দিয়ে। তবে সেই চোখের ভাষায় রাগ অথবা মায়া যাই থাকুক না কেন, চোখের ভাষা সবসময়ই রোমান্টিক।
অনিক এগিয়ে এসে ইমার কাধে হাত রাখলো।
=রাগ করছো?
-দেখো অনিক, আ’ম নট হ্যাপি উইথ ইউ।
=বিয়ের আগে তো বলতা, হ্যাপিনেস মানেই ভালোবাসা…
-সেই ভালোবাসাটাই কি আছে এখন??
কথাটা বলে নিজেই কিছুটা চমকে উঠলো ইমা। বলার আগে বুঝতে পারেনি যে কথাটার ওজন কত বেশি।
অনিক হাসলো। খুব সাদামাটা হাসি। ইমার হাতে হাত রেখে বললো, “এই যে রাগ দেখাচ্ছো, এটা কিন্তু যার তার সাথে দেখানো যায় না। ভালোবাসো বলেই রাগ দেখাতে পারছো… তাই না? একটু ভেবে দেখো…”
অনিকের কথাগুলো শুনে ইমা একেবারে চুপ হয়ে গেল। কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলো না। মুখের কথাগুলো বলে দিলো চোখ। রাগ দিয়ে নয়, জল দিয়ে…
ইমা ভাবতে লাগলো, অনেক স্বামী স্ত্রীর মাঝে কখনো রাগারাগিই হয় না। এর মানে এই না যে তারা খুব সুখী। আসলে হয়তো তারা এখনো একে অপরের প্রতি রাগ দেখানোর অধিকারটাই জন্ম দিতে পারেনি। যার রাগ দেখানোর কেউ নেই সে বড় বেশি দুর্ভাগা।
ইমা চোখ মুছে অনিকের কাধে মাথা রাখলো। সে দুর্ভাগা না, সে ভাগ্যবতী। আর ভাগ্যবতী মেয়েদের কাঁদতে মানা।

অপেক্ষার অন্ত্যমিল







একদিন জ্যামিতিবক্সের ভেতর পেলাম
একটি চার ভাঁজের চিরকুট!
লেখাটা তোমার বুঝতেই দাঁড়ালাম মুখোমুখি,
বললাম কী চাই তোমার?
কিছুক্ষণ অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে বললে
“একটি সোনালি লাল জরি পাড়ের শাড়ি পরে থাকবে
আমার অপেক্ষায়,
ভেজা চুলে মিশে থাকবে মাটির সোঁদা গন্ধ,
বিন্দু বিন্দু জলের ধারা ভিজিয়ে দেবে আঁচল!
আমি উদভ্রান্তের মতো ছুটে যাবো তোমার কাছে,
খুঁজে নেবো ছন্দের অন্ত্যমিল!”
রাগ করে বললাম
ভালোবেসে অপেক্ষায় থাকা ছাড়া মেয়েদের
আর কোন কাজ নেই বুঝি?
তারপর ভোরের শুরু
ক্লান্ত বিকেল,
ভাত ঘুমের অবসরেও একাকী! ভীষণ পাগলাটে তোমার জন্য।
তারপর
তারপর একদিন প্রতীক্ষার পালা শেষ করে
আলতো করে হাত রাখলে কাঁধে,
মুখ না ঘুরিয়েই বললাম
“প্রিয় কারো জন্য এলোচুলে অপেক্ষা
পৃথিবীর সুন্দরতম শিল্পের অন্য এক নাম!

‘সে কি আমাকে ভালোবাসে ’









‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’-এ তিনটি শব্দে কেউ আপনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করলেও তা কি সত্যিকার ভালোবাসা ? অনেকেই অভিযোগ করেন, ‘এ পৃথিবীতে কেউ আমাকে ভালোবাসে না’। সত্যিকার অর্থেই সে আপনাকে ভালোবাসে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ? তাহলে এ লেখায় দেওয়া সাতটি পয়েন্ট মিলিয়ে নিন। বুঝে নিন, সে আপনাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে কি না।
১. অসুস্থ হলে আপনার খবর রাখে
আপনার প্রতি তার ভালোবাসা আছে, এ বিষয়টি বোঝার অন্যতম উপায় হলো আপনি অসুস্থ হলে সে আপনার খবর নেবে। এ সময় আপনার যে কোনো প্রয়োজনে তাকে ডাকলে কাছে পাবেন। আপনার দুঃসময়ে তার এগিয়ে আসা দেখেই বুঝে নেবেন, সে আপনাকে ভালোবাসে।
২. আপনাকে রক্ষা করে
যে আপনাকে ভালোবাসে সে সব সময় আপনাকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে। আপনাকে নিয়ে কেউ হাসাহাসি করলে সে তাতে অংশ নেবে না, বরং তাদের বিরুদ্ধেই থাকবে। এমনকি আপনি তার কাছ থেকে সাহায্য না চাইলেও সে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবে।
৩. আপনার পরিবারকে সম্মান করে
আপনার পরিবার আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনার পরিবারকেও সম্মান করবে। আপনার বাবা-মা কিংবা ভাই-বোনকে সে সম্মান করবে। তাদের সঙ্গে যদি কথা বলতে হয় তাহলে সে অতি সম্মানের সঙ্গে তা করবে।
৪. আপনাকে উৎসাহ দেয়
আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনার নানা অর্জন দেখে খুশি হবে এবং আরও অর্জনে আপনাকে উৎসাহিত করবে। আপনি তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন, এ জন্য সে মোটেও দুঃখ পাবে না। তার বদলে সে আপনার অর্জনে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসবে এবং সে জন্য গর্ববোধ করবে।
৫. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে
আপনার সঙ্গে জড়িয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে কেউ কি এগিয়ে এসেছে? যদি এগিয়ে আসে তাহলে বুঝে নিন, সে আপনার প্রতি দুর্বল, আপনাকে ভালোবাসে এবং আপনার সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করতে চায়।
৬. আপনার মতামতের মূল্য দেয়
যে আপনাকে ভালোবাসে সে আপনার মতামতেরও মূল্য দেয়। আপনার কথা সে সময় নিয়ে শুনবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। যদি কেউ আপনার মতামতকে মূল্য না দেয় তাহলে এর বিপরীত অবস্থা হবে। কিন্তু আপনাকে যদি ভালোবাসে তাহলে সে আপনাকে একজন বুদ্ধিমান বলেই মনে করবে।
৭. মনে রাখে
যে আপনাকে ভালোবাসে সে আপনার জন্মদিনসহ নানা তারিখের কথা খেয়াল রাখবে। এ ছাড়া অন্য নানা উপলক্ষেও সে আপনাকে অভিনন্দন জানাতে ভুলবে না। (ইত্যাদি)

অতঃপর ভালোবাসা




– তুই আমাকে এখনো ভালোবাসিস ?
– না।
– কেন ?
– কেন আবার কি ?
– ভালোবাসিস না কেন ?
– যখন ভালোবেসে ছিলাম তখন তো মূল্য দিলি না।
– তুই তো আমাকে বলিসনী কোন দিন ?
– তোর বোঝা উচিত ছিলো।
– তুই না বললে কেমন করে বুঝবো ???
– কেমন করে বলব ? বলার আগেই তো তুই ওই ছেলেটাকে আমাদের মাঝে নিয়ে আসলি।
– ও আমার জাষ্ট ফেন্ড ছিলো আর কিছু না।
– আমি তো তোর বেষ্ট ফেন্ড ছিলাম। মাএ দুই দিনের একটা ছেলের জন্য তুই আমাকে ভুলে গেলি ?
– আমি তোকে ভুলিনী, তুই আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেছিস।
– কেন গেছি তু্ই জানিস না ?
– না।
– জানবি কেমন করে ? আমি তো তোর কেউ ছিলাম না।
– এমন ভাবে বলিস কেন ? তু্ই তো জানিসই আমি একটু কম বুঝ। বললেই পারিস।
– আমি তোর পাশে অন্য কাউকে সহ্য করতে পারি না।
– একবার বললেই পারতি !!
– কেন বলব ? তুই বুঝিতে পারিস না ?
– বুঝলে কি আর তোর থেকে দূরে থাকতাম।

দুজনেই চুপ। কিছুটা সময় নিরবতার পর দিশা বলে উঠল,
– চুপ কেন ?
– এমনিই।
– কাউকে ভালোবাসিস ?
– না।
– ভালোবাসতি ?
– হ্যা।
– সেদিন বলিসনী কেন ?
– বলার সাহস ছিলো না।
– কেন ?
– তোকে হারানোর ভয়ে।
– কেন হারাবি আমায় ?
– তোকে বলার পর যদি তুই “না” বলে দিস। যদি তুই চলে যাস আর আমাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট করে দিস।
– তুই কেমন করে ভাবলী “তোকে ছেড়ে আমি চলে যাবো ?”
– তাহলে এই দুই বছর কোথায় ছিলি ?
– ওটা তো……………….!!! থাক পুরানো কথা বাদ দে।
– ok, দিলাম।
আবারো নিরবতা দুজনের মাঝে। প্রকৃতি টাও কেমন যেন ওদের সাথে শান্ত হয়ে গেল । মনে হচ্ছে আকাশেরও বুঝি আজ মন খারাপ। এই বুঝি কান্না শুরু করবে।
– কিছু বলবি ?
– কি বলবো ?
– যা ভাবছিস এখন।
– তুই বলতে পারিস না ?
– না।
– কেন ?
– তুই জানিস না, “মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না”।
– কেন ফাটে না ? তোরা ফাটাতে চাসনা দেখেই ফাটে না।
– হা……..হা……..হা……..হা……..!!!
– তোর হাসিটা এখনো আগের মতোই সুন্দর। (দিশার দিকে তাকিয়ে বিপলু)
– যাক বাবা, আমার হাসির কারণে হলেও তুই একবারের জন্য আমার দিকে তাকালি। এতক্ষণ তো আমার মনে হয়েছিলো আমি কোন রোবটের সাথে কথা বলছি।
– (চুপ)
– আচ্ছা আমি আসি (দিশা উঠতে যাবে ঠিক তখনি দিশার হাত ধরে ফেলল বিপলু)
– বস।
– কেন বসবো ? তুই তো কিছু বলবি না !!!
– বস বলছি।
– বল, কি বলবি ?
– আমার হাতটা একটু শক্ত করে ধরবি ?
– হুম ধরলাম।
– ছোটবেলায় তোকে হরলিক্স খাওয়ানী ?
– কেন ? (বিস্মিত হয়ে)
– তোকে শক্ত করে ধরতে বলসি, স্পর্শ করতে বলিনী।
– ok বাবা, ধরলাম। এবার বল কি বলবি ?
– দিশা, আমি…….
– হুম….!!
– আমি……
– তারপর ?
– তোকে…
– হুম…..!!
– তোকে…
– তোকে কি …..??
– আমি একটু পানি খাবো, একটু পানি দে…। (হতবিহ্বল হয়ে পড়লো বিপলু)
– (হাত ছেড়ে দিয়ে রাগান্বিত হয়ে) যা ওই দোকান থেকে খেয়ে আয়।
– তোর কাছে নেই ?
– না।
বিপলু উঠে পানি খেতে চলে গেল। এমন ভাবে গেল মনে হয় কত বছরের তৃষ্ণাত। অপর দিকে দিশার মনটা খারাপ হয়ে গেল। আজ দুই বছর পর ওদের দেখা অথচ বিপলু ওর মনের কথাটা আজও বলতে পারলো না। আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে এই দিনে দিশার সাথে বিপলুর প্রথম পরিচয় হয়। বন্ধুত্বের কিছুদিন পরেই দিশাকে ভালোবাসতে শুরু করে বিপলু। দিশাও ব্যাপারটা বুঝতে পারে কিন্তু না বুঝার ভান করে থাকে। মেয়েদের এই এক স্বভাব, “বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না”। ওই দিকে বিপলু নানা কথা-বার্তায়, চাল-চলনে দিশাকে বুঝাতে চেষ্টা করে যে সে দিশাকে ভালোবাসে। দিশা বুঝেও সবসময় না বুঝার ভান করে থাকতো। কারণ, দিশা সবসময় চাইতো বিপলু দিশাকে সরাসরি প্রপোজ করুক। সব মেয়েরেই এই রকম স্বপ্ন থাকে যে তার ভালোবাসার মানুষ তাকে আগে প্রপোজ করুবে, তার মনের কথাটা বলবে কিন্তু বিপলু সেটা পারছে না শুধুমাএ বন্ধুত্বটা নষ্ট হওয়ার ভয়ে। কোনদিন আর পারেওনী। মাঝে অন্য একটা ছেলের জন্য দুই জনের বন্ধুত্বের ফাটল দেখা দেয়। অতঃপর দীর্ঘ দুই বছর পর আজ আবার তাদের দেখা কিন্তু বিপলু আজও দিশাকে মনের কথা না বলায় দিশার মন খারাপ।
৩০ মিনিট হয়ে গেল বিপলু এখনো আসছে না। দিশা ফোন দিলো কিন্তু বিপলু ফোনটাও ধরছে না। হয়তো বিপলু চলে গেছে, হয়তো বিপলুর আজও বলার সাহস হয়নী এমনটা ভেবে দিশা উঠে দাড়ালো। হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন “দিশা” বলে চিৎকার দিয়ে উঠল। দিশা পিছনে ফিরে তাকালো। আরে এতো বিপলু ! ও একটু দূরে হাটুগেড়ে বসে আছে, হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ। বিপলু লাল গোলাপ গুলো দিশার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল,
– দিশা……, I……Love……You……..!!!
লেকের পাড়টা যেনো বিপলুর চিৎকারে কেপেঁ উঠল। লেকের পাড়ের উৎসুক মানুষ গুলোর দৃষ্টি এখন শুধু বিপলু আর দিশার দিকে। এমন দৃশ্য হয়তো আজ বিরল তাই কেউ কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে গেল। অন্য দিকে দিশা অপলক দৃষ্টিতে বিপলুর দিকে তাকিয়ে রইল। যে বিপলু ভালোবাসি কথাটা বলতে তিন বছর সময় নিলো, যে বিপলু মনের কথাটা বলতে গেলে হাত কাপঁতে শুরু করে সেই বিপলু আজ পুরো পৃথিবীর সামনে প্রপোজ করল। এটা ভাবতেই দিশা অবাক হয়ে গেল। দিশা কেমন যেনো নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। দিশার বিস্ময় যেনো কাটছে না। বিপলু সত্যি আজ প্রপোজ করল নাকি দিশা স্বপ্ন দেখছে। কেন যেনো আজ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না দিশা। সব কিছুই যেনো আজ স্বপ্ন মনে হচ্ছে। এই সব কথা ভাবতে ভাবতে দিশার চোখে পানি চলে আসল।
– কিরে আর কতক্ষণ বসে থাকবো ??
বিপলুর কথায় যেনো জ্ঞান ফিরল দিশার। দিশা আস্তে আস্তে বিপলুর দিকে এগিয়ে আসলো। বিপলুর হাত থেকে ফুলের তোড়াটা নিলো। বিপলু উঠে দাড়ালো। দিশা বিপলুর দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইল।
কিছুক্ষণ পর_________
– কিরে, কিছু বলবি না ?
– কি বলবো ? (দিশার চোখের পানি)
– তুই কাঁদছিস কেন ?
– মাইর খাবি। এই কথাটা বলেতে এত সময় লাগলো ???
– ওকে, সরি…..।
– কানে ধর।
– কার ? তোর না আমার ?
– তোর, শয়তান। (ধমক দিয়েই বলল দিশা)
বিপলু কানে ধরতে যাবে ঠিক তখনি দিশা “I Love You Too” বলে বিপলুকে জড়িয়ে ধরল। দিশার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো। বিপলু জানে দিশার চোখে আজ কোনো কষ্টের কান্না ছিলো না, যা ছিলো তা ছিলো আনন্দের। আর বিপলুর চোখে-মুখে ছিলো আনন্দের হাসি। গত দুই বছর বিপলু দিশার জন্য অনেক কেঁদেছে, সেই কাঁন্না আজ হাসিতে রুপান্তরিত হয়েছে।
মরাল : সত্যিকারের ভালোবাসায় যতই ফাটল ধরুক না কেন, একদিন না একদিন মিলন ঠিকই হয়______।

সত্যিকারের   ভালবাসা

 

 

একটি মেয়েকে বারবার ভালবাসার প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয় একটি ছেলে… মেয়েটি প্রতিবারই বলেঃ “শোন, তোমার এক মাসের বেতন আমারএকদিনের হাত খরচ। তোমার সাথে সম্পর্ক করব আমি!!! ভাবলে কি করে!?! আমি তোমাকে কখনই ভালবাসতে পারব না। করুনা করেও না।
তাই তুমি ভুলে যাও আমাকে। তোমার যোগ্যতা অনুযায়ী কাউকে ভালবাসো!!! আমাকে নয়!! ছেলেটি তারপরেও মেয়েটিকে ভুলতে পারে নাই!!”
গল্পটি এখানে শেষ হলেও হতে পারতো কিন্তু
. . .
••• ১০ বছর পরে হঠাৎ একদিন •••
ঐ মেয়েটি আর ছেলেটির একদিন এক শপিংমলে দেখা হয়ে গেল। দেখা হবার পর মেয়েটি বললঃ “আরে তুমি! কেমন আছ? জানো? আমার বিয়ে হয়ে গেছে! আর আমার স্বামীর বেতন কত জানো! প্রতি মাসে এক লাখ টাকা!!! তুমি কল্পনা করতে পারো? আর আমার স্বামী দেখতেও অনেক স্মার্ট!একেবারে সেইরকম!!! বুঝলে তুমি!?! আচ্ছা!!! তোমার কপালে কেউ জুটেছে নাকি?
মেয়েটির এমন কথা শুনে ছেলেটির চোখে পানি এসে গেল. . . .
এর কিছু সময় পরেই মেয়েটির স্বামী চলে আসলো। তখন মেয়েটি কিছু বলার আগেই ওর স্বামী বলতে লাগলো ছেলেটিকে দেখেঃ . . . . “আর এ স্যার আপনি!! এখানে কি মনে করে!!! তারপর মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে ওর স্বামী আরো বলতে লাগলো…. উনি আমাদের বস, আর স্যার বর্তমানে যে ২০০ কোটি টাকার প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছেন সেটা আমিই স্যারের অধীনে কাজ করছি।আর মজার ব্যাপার কি জানো!!! স্যার একটা মেয়েকে ভালোবাসতো। তাই এখনও পর্যন্ত বিয়েই করে নাই। মেয়েটা কি লাকি তাই না!!! কয়জন এমনভাবে ভালবাসতে পারে?”
••• গল্পটির এখানেও সমাপ্তি হয় না… কারন এ ধরনের গল্পের কোনো সমাপ্তি নেই… তবে এটাই সত্যিকারের ভালবাসা… জীবনটা এক অর্থে অনেক বড়। কাউকেই ছোট করে দেখতে নেই। সময়ে এর স্রোতে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। সুতরাং কাউকে ছোট না ভেবে সবার ভালবাসাকেই সম্মান করা উচিত…

ভালো থেকো ভালবাসা

 

 

 

আমি এক নষ্ট ছেলে, তুষ্ট মানুষ ;
অল্পতেই তুষ্ট হইয়ে তোর ছলনাতে ধোঁকা খেয়েছি ;
অবিরত তোর ভবিষ্যৎ কে কাব্যে গদ্যময় করতে আমি নির্ঘুম থেকেছি রাতের পর রাত ;
তবুও বুঝতে পারিনি তোর প্রেমের মধ্যে রহস্যের জাল ছিলো ;
যেটা দিয়ে আমাকে মেঘনা নদীর মতো ছিনিয়ে নিয়েছিলে ভিটা মাটি থেকে ;
আমি তবুও রাগিনী, সামান্য কষ্ট পাও চাইইনি ;
তবুও পেয়েছো আমাকে দিয়েছো ;
আর কতো, কষ্ট দিবে ;
আমার বুকের ডান পাশে প্রচুর ব্যাথা এখন ;
অজানা সব রোগ বাঁধা বেধেছে আমার শরীরে ;
তবুও তোমাকে ভালবাসি ;
শেষ রক্ত বিন্দু অবধি ভালবেসে যাবো ;
ভালো থেকো ভালবাসা।

 



অদেখা সেই তুমি



ছোট্ট একটা ঘর আমার
ছোট্ট একটা মন।
সেই ঘরেতে বাস করে
আমার প্রিয় জন..
ছোট্ট দুটি আখি তার
ছোট ছোট পা
তাই দেখে উরে গেল
আমার পরান টা…
– অবসর সময়ে দু
একটা কবিতা লেখে পথ..চাকরি করার পর
সময় মেলেই না..একটা প্রাইভেট
কম্পানীতে ছোট খাট একটা জব করে..সকাল
৭.৩০ সময় বাসা থেকে বের হয় পথ..বাস
স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকে বাসের জন্য..এই
সময়টা অনেক ব্যস্ত থাকে নগরী..সবাই যার
যার কাজের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য
ব্যস্ত..অনেক কষ্ট করে বাসে উঠতে হয়..তাও
আবার দাড়িয়ে থাকতে হয় অনেক সময়.
– প্রায় প্রতিদিন এমনই
হয়..স্ট্যান্ডে অনেকেই
দাড়িয়ে থাকে..কিন্তু পথের নজর
কারে একটা মেয়ে..প্রতিদিন বাসের জন্য
অপেক্ষা করে..মনে হয় স্টুডেন্ট
হবে..হাতে বই থাকে সব সময়..
– পথ প্রতিদিন লক্ষ
করে মেয়েটাকে..কিন্ত ু সময়ের
অভাবে কথা বলা হয় না..
– মেয়েটা লক্ষ করে কিনা কে জানে.?
– প্রতিদিনের মত অফিস থেকে ফিরে রেস্ট
নিচ্ছে পথ..আর মনে মনে ভাবছে মেয়েটার
কথা..
– রেহানা বেগম পথের রুমে আসলেন..পথের
মা ইনি..বাবা পথ অনেক ত বয়স হল এবার
একটা বউ নিয়ে আয় ঘরে..দেখ আমার
অবস্থাও ভাল না..কত দিন আর
বাঁচব..যাওয়ার আগে তোর সুখের
সংসারটা দেখে যেতে চাই..
– মা তুমি এভাবে বলছ
কেন..তুমি যদি এভাবে বল
তাহলে আমি কি সইতে পারি.?
– তাহলে এবার বিয়ের জন্য মত
দে..আমি একটা মেয়ে দেখেছি তোর জন্য..তুই
হ্যাঁ বললেই পাকা কথা বলব..
– মা আমাকে আর ১০ দিন সময়
দেও..আমি একটু ভেবে দেখি..
– আচ্ছা ভেবে দেখ..তবে ১০ দিনের
বেশি সময় দিতে পারব না..
– তাতেই হবে..
– ফ্রেস হয়ে টেবিলে আয়..আমি খাবার
দিচ্ছি..
– রাতের খাবার খেয়ে পথ বিছানায়
শুয়ে ভাবছে মেয়েটার কথা..কাল ত শুক্রু
বার,ছুটির দিন.মেয়েটার
সাথে দেখা হবে না..মনটা খারাপ
হয়ে গেল পথের..
– পরের দিন সকাল ১০টায় ঘুম ভাঙল
পথের..বিছানা থেকে উঠে নাস্তা করল..তারপর
বসল টিভি দেখতে..সপ্তাহে দুই দিন একটু
টিভি দেখার সময় হয়..
– পথ জুম্মার নামাজ পরে বাসায়
এসে খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট
নিচ্ছে..চিন্তা করছে বিকেলের
সময়টা কি করবে..?হটাত মনে পরল অনেক
দিন পার্কে গিয়ে সূর্য ডোবা দেখা হয় না..
– পথ পার্কে বসে আছে এক
কর্নারে..আশে পাশে অনেক মানুষ
ঘুরতে এসেছে..সবাই অনেক হাসি খুশি..পথ
দেখল একটা মেয়ে তার
দিকে আসছে..অনেকটা পরিচিত
লাগছে..খানিকটা কাছে আসতেই পথ
চিনে ফেলল মেয়েটাকে..এ যে সেই বাস
স্ট্যান্ডের মেয়েটা..
– পথ অনেক খুশি..যাক আজকেও
দেখা হয়ে গেল..আজ
কি বলে দেবে মেয়েটাকে যে,তাকে অনেক
পছন্দ আমার..
– মেয়েটা পথের
সামনে এসে দাড়াল..আচ্ছা আপনি কি আমাকে ফলো করছেন.?
– পথ কেমন জানি ফিল করছে..বুকের ভিতর
ধুক ধুক করছে..
– কি হল উত্তর দিচ্ছেন না যে..
– কই না ত..আমি ত আপনার ফেবু
আইডি জানি না আর ফলো কিভাবে করব..
– আমি ফেবুর কথা বলছি না..আমি যেখানেই
যাই সেখানেই আপনি থাকেন..ব্যাপার কি..?
– পথ
কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না..তা দাড়িয়েই
কথা বলবেন না কি বসবেন..?
বসে কথা বলতে সমস্যা নাই ত আপনার..?
– মেয়েটা বসল..তারপর জিজ্ঞেস করল
আপনি কি করেন.?
– পথ উত্তর না দিয়ে বলল,আপনার
নামটা কি জানতে পারি..?
– নাম দিয়ে কি করবেন.?আগে আমার
প্রশ্নের জবাব দিন..

আসলে আমি আপনাকে ফলো করি না..কাকতালিয়
ভাবে আমাদের দেখা হয়ে যায়..হয়ত উপর
থেকেই সব করা হচ্ছে..আর
আমি একটা প্রাইভেট কম্পানিতে জব
করি..আর আমার নাম পথ.
– হুম..সবই বুঝলাম..তবে আপনার নামটা যেন
কেমন অদ্ভুত..পথ,শুনল েই কেমন
যানি একটা ফিল হয়..যাই হোক না বলতেই
সব বলে দিয়েছেন..আমার নাম
পরী..পরাশুনা করি ৩য় বর্ষ এবার..
– দু জনের
কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে..সূর্য
অস্ত যাচ্ছে..পথ সূর্য অস্ত
যাওয়া দেখছে..সূর্যের লাল রঙ পরীর
মুখে এসে পরেছে..দেখতে এখন পরীর মতই
লাগছে..
– আচ্ছা আজ
তাহলে উঠি..সন্ধ্যা হয়ে এসেছে..
– আচ্ছা নাম্বারটা কি পেতে পারি..?
– পরী মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল
০১৯২৭ বাকি ডিজিট গুলো অন্য এক দিন
দেব..যে দিন আবার কাকতালিয়
ভাবে দেখা হবে আমাদের..
– পথ একটু অবাক
হয়ে চেয়ে রইল…পরী চলে গেল..
– ৭ দিন হয়ে গেল,পরীকে আর
দেখা যাচ্ছে না বাস স্ট্যান্ডে..পথ
পাগলের মত
হয়ে খুজে যাচ্ছে এখানে সেখানে..সারা শহরের
সব কয়টা রেস্টুরেন্ট,পার
্ক,শপিং মল..কোথাও
দেখা মেলে না পরীর..অফিসের কাজেও মন
বসে না..অফিস থেকে ৩ দিনের ছুটি নেয়
পথ..
– – বাসায়
ফিরে ভাবছে কি করবে এবার..কোথায় পাব
পরীকে..পরীর দেওয়া অর্ধেক নাম্বারটার
কথা মনে পরল…বাকি ডিজিটগুলা বসিয়ে অনেক
ট্রাই করল কিন্তু কোন নাম্বারই পরীর না..
– আজ ৮ম দিন…মার জানি কি হয়েছে..অনেক
অসুস্থ হয়ে পরেছে..হাসপাতাল
ে ভর্তি করেছে পথ..চিন্তায় কুল
কিনারা পাচ্ছে না..
– পথের একটা বন্ধু আছে..খুব কাছের বন্ধু..এই
শহরেই থাকে..একটা প্রাইভেট
কম্পানিতে জব করে..ছোট বেলা থেকেই এক
সাথে বড় হয়েছে দুই জন..পার্থ নাম..
– পথ ফোন করে সব কিছু জানায় পার্থকে..
– পার্থ সব শুনে চলে আসে হাসপাতালে..দুই
জনে মিলে অনেক
চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয় মা সুস্থ
হলেই মাকে বিয়ের জন্য
হ্যাঁ বলে দেবে পথ..কিন্তু পথ
একা বিয়ে করবে না সাথে পার্থও..দুই বন্ধু
একসাথে বিয়ে করবে..
– পথ ডাক্তারের কাছে গেল..কত দিন
লাগবে সুস্থ হতে..?
– ডাক্তার বললেন প্রায় ১০-১৫ দিন ত
লাগবেই..তবে কাল বাসায়
নিয়ে যেতে পারবেন এবং পূর্ন
রেস্টে রাখবেন..
– পথ সস্থির নিশ্বাস ফেলল.
– মাকে বাসায় নিয়ে গেল পথ..
– পথ আর পার্থ
বসে আছে পার্কে..কি করবে এখন..পরীর কোন
দেখা নাই..মনের কথা ত বলতে পারলই
না অন্য
দিকে মাকে কথা দিতে হবে..চিন্তা করছে পথ..
– অন্য দিকে পার্থ চিন্তায় আছে তার
বিয়ের প্রস্তাব কি মেনে নেবে নিলুর
পরিবার..?
– নিলু হল পার্থের অর্ধাংশ..৫ বছরের
প্রেম তাদের..অনেক মধুর সম্পর্ক দু
জনের..নিলুর পরাশুনা শেষ হতে এখনো ২
বছর বাকি..সেই কলেজ লাইফ থেকে পরিচয়
দু জনের..প্রথম দিনেই ঝগরা..তারপর
আস্তে আস্তে প্রেম.
– নিলুর আজ আসার কথা পার্কে..সমস্যার
একটা সমাধান করার জন্য..
– পার্থ বসে বসে ঘাস চাবাচ্ছে আর
ভাবছে আর পথ আকাশ দেখছে..হটাত
সামনে এসে দাড়াল নিলু..
– এই ছাগল ঘাস চাবাচ্ছ কেন.?
– তুমি এসেছ এতক্ষনে..ঘাস চাবাব না ত
কি করব..আমি ত তাও কিছু করছি আর ঐ দেখ
আরেক জন চিন্তায় আকাশের
সীমানা মাপছে..
– নিলু পথকে সালাম দিয়ে বলল ভাল আছেন
ভাইয়া.?
– নাহ..ভাল আর কি করে থাকি..চিন্তায়
জীবন শেষ..
– নিলু দুই জনের সব কথা শুনল..তারপর
পার্থকে বলল আজই বাসায় প্রস্তাব
পাঠাতে..বাকি কাজ নিলু সামলে নিবে..আর
পথকে বলল ভাইয়া কি আর করবেন
যাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে ভুলে যান..মায়ের
পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন..
– হুম নিলু..আমিও তাই ভাবছি..পরী বসন্ত
বাতাসের মত এসে কাল বৈশাখি ঝরের মত
চলে গেল..যাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে যাবে না তাকে মনে রেখে লাভ
কি..আজই মাকে হ্যাঁ বলে দেব..আর পার্থ তুই
আজই কিন্তু প্রস্তাব পাঠাবি.
– পথ বাসায় এসে বসে বসে ভাবছে..তারপর
এক পর্যায়ে মার কাছে যায়.
– কি রে বাবু কিছু বলবি..?
– হ্যাঁ..মা আমি তোমার পছন্দের
মেয়েকে বিয়েতে রাজি..
– যাক
অবশেষে সুবুদ্ধি হল..তা মেয়ে দেখবি না.?
– নাহ..তুমি দেখেছ তাতেই
হবে..তুমি মেয়ে পক্ষের
সাথে কথা বল..বিয়ের দিন ঠিক
করে জানাও..পার্থকে জানাতে হবে..
– পথ মায়ের রুম
থেকে বেরিয়ে সোজা পার্থের বাসায়
চলে এল..
– কিরে পথ বলে দিলি তাহলে..আমিও
প্রস্তাব
পাঠিয়েছি..ওরা রাজি হয়েছে..নিলু সব
মেনেজ করে নিয়েছে..এখন তোর বিয়ের দিন
ঠিক হলেই হল..
– পার্থ আমার না পরীর জন্য কেমন
করছে মনটা..মনে হচ্ছে কি যেন
হারিয়ে ফেলছি..
– আরে মন খারাপ করিস না পথ.যা হবার
ছিল তাই হচ্ছে..চল শপিং এ যাই মন ভাল
হয়ে যাবে..
– চল তাই করি..মনটা ভাল
করা দরকার..তা ছারা বিয়ে ত ঠিক হয়েই
গেছে..মাকে একটা ফোন করে চল
বেরিয়ে পরি..
– দুই বন্ধু মিলে গেল শপিং করতে..খুব আনন্দ
করছে দুই জন..অনেক শপিং করল
বিয়ের..হটাৎ পিছন থেকে পরীর গলার
আওয়াজ.
– আরে পথ ভাই না..কেমন আছেন..?ওয়াও এত্ত
শপিং করছেন..ব্যাপার কি..?
– ভাল আছি না মন্দ
আছি তা জেনে তুমি কি করবে..কত
খুজেছি তোমাকে..কোথায়
হারিয়ে গিয়েছিলে..?অবশ্ য এখন এ সব
বলে আর কি লাভ..
– কেন.?লাভ নেই কেন.?আর আমি অসুস্থ
ছিলাম অনেক..
– ও..থাক ভালই আছ মনে হয়..ক দিন
পরে আমার বিয়ে..তাই আর পুরান
কথা তুললাম না..ভাল থেক..
– ওয়াও..congratul ation
অগ্রিম..আমাকে ইনভাইট করবেন না..?
– কি করে করব..তোমার ত শুধু অর্ধেক
নাম্বার জানি আর বাসার ঠিকানাও
জানি না..
– তাও ঠিক..তাহলে আপনার নাম্বার দিন
আমি বিয়ের দিন চলে আসব ফোন করে..আর
বাকি ৩টা ডিজিত নিন
৬৩৪..বাকি তিনটা বিয়ের দিন
গিফটে লিখে দেব..
– পথ অবাক..মেয়ে বলে কি..যাই হোক মনের
মানুষ ত..পথ নিজের নাম্বারটা দিয়ে দিল..
———–
– আজ পার্থ আর পথের বিয়ে..দুই বন্ধু এক
সাথে বরের সাজে সেজেছে..পার্থ অনেক
খুশি কিন্তু পথের মনটা আজও খারাপ..কেন
যে সে দিন পরীর সাথে দেখা হয়েছিল..
– সবাই এসে গেছে বিয়েও শেষ..পথের
বিয়ে হল মেঘ নামের এক
অজানা অদেখা মেয়ের সাথে..আর পার্থর হল
নিলুর সাথে..
– সবাই চলে যাচ্ছে..অনুষ্ঠা ন শেষ..পথ
এখনো অপেক্ষা করছে পরীর জন্য..শেষ
দেখাটা অন্তত দেখার জন্য..কিন্তু
পরী যে আসে না..
– বাসর রাত আজ পথের..অদেখা আর
অচেনা এক মেয়ের
সাথে যাকে সে এখনো দেখেনি..
– রুমে ঢুকতেই মেঘ একটা গিফট এগিয়ে দিল
পথকে..বড় ঘোমটা থাকার
কারনে চেহারাটা দেখতে পেল না পথ..
– গিফটা নিয়ে খুলতেই..
– সেখানে লেখা বাকি তিনটা ডিজিট
দিলাম মন চাইলে কল কর নইলে বিছানায়
আস..
– পথ অবাক হয়ে চেয়ে আছে লেখাটার
দিকে..তাহলে এই কি আমার পরী..?
– দেরি না করে ঘোমটা তুলতেই সেই চির
চেনা মুখটা দেখতে পেল পথ..এই ত আমার
পরী..
– কি অবাক হলেন.?খুজে পেলেন আপনার
পরীকে..
– তুমি কেন..?আমার ত মেঘের
সাথে বিয়ে হয়েছে..মেঘ কোথায়..?
– আমিই মেঘ..মেঘ জান্নাত পরী..এখন বলেন
পরীকে ভালবাসেন না মেঘকে.?কার
সাথে সংসার করবেন..?
– উত্তরে একটাই নাম
আসে পরী..আমি তোমাকে ভালবাসি পরী..অনেক
ভালবাসি..
– আর কিছু দিন পর বললে হয়ত আমাদের
বাচ্চারাও শুনতে পারত..তা কেমন লাগল
সারপ্রাইজ..সবই ছিল প্লান করা..আমার
শাশুরি আম্মা আর আমি দুজনে মিলেই এই
প্লান করেছি…
– ওও…আর আমি কষ্টে মরে যাচ্ছিলাম তার
দিকে খেয়াল নাই..
– খেয়াল আছে বলেই ত রোজ খোজ নিতাম
আপনার..
– তা আপনি করেই বলবে না তুমি করে..
– আমার না লজ্জা লাগছে এখন..
– ওরে আমার লজ্জাবতিরে..
এভাবেই খুনসুটি আর গল্পে কেটে যাচ্ছিল
দুই ভালবাসার পাখির দিনগুলো…
…..ছোট সে ঘরে জায়গা দিলাম
……মনের দুয়ার খুলে,
……বাসবে কি ভাল এমন করে
……সারা জীবন ধরে
=একবার যখন ধরেছি হাত
=ছারব না কভু
=তুমিও আমায় তেমনই বেস
=যেমনটা বেসেছিল এই হৃদয়..






যাকে তুমি চাও সেটা ভালোবাসা।
যে তোমাকে চায় সেটা কি? 
যার জন্য তুমি কাঁদছো সেটা ভালোবাসা। 
যে তোমার জন্য কাঁদছে সেটা কি?
 যার জন্য তুমি কষ্টো পাও সেটা ভালোবাসা।
 যে তোমার জন্য কষ্টো পায় সেটা কি? 
 যাকে চেয়েছো তাকে কি তুমি পেয়েছো?
 কিস্তু যে তোমাকে চেয়েছে তার কথা কি কখনো ভেবেছো???

Sunday, May 7, 2017






কিছু কিছু কবিতা লিখার আগে ভাষা হারিয়ে যায়। 
কিছু কিছু কথা বলার আগে সময় ফুরিয়ে যায়।
কিছু কিছু স্বপ্ন দেখার আগে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
কিছু কিছু মানুষ আপন হওয়ার আগে দূরে চলে যায়। 
কেন এমন হয়?

তুমি কি জান পাখি কেন ডাকে? 
“তোমার ঘুম ভাংবে বলে।
 তুমি কি জান ফুল কেন ফুটে?
 “তুমি দেখবে বলে।
 তুমি কি জান আকাশ কেন কাদে?
 “তোমার মন খারাপ বলে।
 তুমি কি জান তোমাকে সবাই পছন্দ করে কেন?
 “তুমি খুব ভাল বলে। 
তুমি কি জান তুমি এত ভালো কেন? 
“তুমি আমার “বন্দু” বলে।

 Tumi ki jano pakhi keno dake? 
"Tomar ghum vangbe bole". 
Tumi ki jano full keno fute? 
"Tumi dekhbe bole".
 Tumi ki jano akash keno kade?
 "Tomar mon kharap bole". 
Tumi ki jano tomake sobai posondho kore keno?
 "Tumi khub valo bole". 
Tumi ki jano tumi ato valo keno?
 "Tumi amar "friend" bole.

Saturday, May 6, 2017

তোমার জন্য ভালোবাসা




1.কোটি বছর আগে জন্মে ছিলো তোমার জন্য ভালোবাসা, এখনো অপেক্ষায় আছি তুমি ভালোবাসবে বলে।তোমাকে ধরতে আসিনি এসেছি ধরা দিতে..!
2.শীতের চাদর জড়িযে,কুয়াশার মাঝে দাড়িয়ে, হাত দুটো দাও বাড়িয়ে,শিশিরের শীতল স্পর্শে যদি,শিহরিত হয় মন।বুঝেনিও আমি আছি তোমার পাশে সারাক্ষণ।
3.হৃদযের সীমানায় রেখেছি যারে, হয়নি বলা আজো ভালবাসি তারে। ভালবাসি বলতে গিয়ে ফিরে ফিরে আশি। কি করে বুঝাবো তারে আমি কতটা ভালোবাসি?
4.হৃদযের সীমানায় রেখেছি যারে, হয়নি বলা আজো ভালবাসি তারে। ভালবাসি বলতে গিয়ে ফিরে ফিরে আশি। কি করে বুঝাবো তারে আমি কতটা ভালোবাসি?
5.জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বেধেছি একটি ঘর, তোমাকে পাবো বলে সাজিয়েছি প্রেমের বাসর, আবেগ ভরা মনে অফুরন্ত ভালোবাসা, সারা দেয় কোনে কোনে শিহরন জাগে মনে, তোমাকে পাওয়ার আশায়
6.জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বেধেছি একটি ঘর, তোমাকে পাবো বলে সাজিয়েছি প্রেমের বাসর, আবেগ ভরা মনে অফুরন্ত ভালোবাসা, সারা দেয় কোনে কোনে শিহরন জাগে মনে, তোমাকে পাওয়ার আশায়
7.তুমি আমাকে যতই কষ্ট দাও....... আমি তোমাকে আপন করে নেবো, তুমি আমাকে যতই দুঃখ দাও...... আমি সেই দুঃখকেই সুখ ভেবে নেবো, তুমি যদি আমাকে ভালোবাসা দাও..... তোমাকে এই বুকে জড়িয়ে নেবো, আর কখনও যদি তুমি আমাকে ভুলে যাও, আমি তোমাকে সারাটি জীবন....... নিরবে ভালোবেসে যাবো.......!
8.চোখের আড়াল হতে পার মনের আড়াল নয়, মন যে আমার সব সময় তোমার কথা কয়, মনকে যদি প্রশ্ন কর তোমার আপন কে ? মন বলে এখন তোমার লেখা পড়ছে যে !
9.মেহেদী পাতা যদি নিজের জীবন বিহর্জন দিয়ে অন্যকে রাঙিয়ে তুলতে পারে,তাহলে একটা মানুষ কেন পারেনা কাওকে মন থেকে ভালোবেসে একটা জীবনকে রাঙাতে
10.প্রেম মানে হৃদয়ের টান,প্রেম মানে একটু অভিমান ,২টি পাখির ১টি নীর ,১টি নদীর ২টি তির ,২টি মনের ১টি আশা তার নাম ভালবাসা
11.জীবনকে খুজতে গিয়ে তোমাকে পেয়েছি,নিজেকে ভালবাসতে গিয়ে তোমার প্রেমে পরেছি,,জানতাম না কাকে বলে ভালো ভালবাসা,সিখিয়েছ তুমি।
12.এক বিন্দু জল যদি চোখ দিয়ে পড়ে,, সেই জলের ফোটা সুধু তোমার কথা বলে.. মনের কথা বুঝনা তুমি মুখে বলি তাই,, শত আঘাতের পরেও তোমায় ভালবেসে যাই..!!
13.তাকেই ভালবাস যে তোমার কাছে ভালবাসা ছাড়া আর কিছু চাইবে না
14.জানিনা কতটুকু ভালোবাসি তোমায় ! শুধু জানি আমার এভালোবাসার শেষ নেই| তুমি যদি এর সীমানা খুজতে যাও,নিজেই হারিয়ে যাবে| LOVE U ।
15.তুমি তাকেই ভালোবাস যার মন পাথরের মতো শক্ত,কারন ঐ পাথরে যদি একবার ফুল ফোটাতে পারো সেই ফুল শুধু তোমাকেই সুবাস দেবে|
16.মেঘ ভরা আকাশ,নেই চাদের দেখা।তুমি ছাড়া নিজেকে,বড় লাগে একা...!!যদি পেতাম জোনাকি পোকা উড়ে যেতাম সাথে...!!বন্ধু তোমায় খুজে নিতাম,আধার ঘেরা রাতে...!!
17.সত্যিকারের বন্ধু জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে,কিন্তু মন থেকে নয়। সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ জীবন থেকে চলে যেতে পারে কিন্তু হৃদয় থেকে নয়।
18.এক বিন্দু জল যদি চোখ দিয়ে পড়ে,, সেই জলের ফোটা সুধু তোমার কথা বলে.. মনের কথা বুঝনা তুমি মুখে বলি তাই,, শত আঘাতের পরেও তোমায় ভালবেসে যাই..!!
19.দিন ফুরাবে,,,,রাত ফুরাবে,,,,ফুরাবে ফুলের প্রান,,,, সমায় ফুরাবে,,,,জীবন ফুরাবে,,,,ফুরিয়ে যাবে জান,,,,Butতোমার জন্য ফুরাবে না আমার ভালোবাসার টান,,,,,,I,,,,LOVE,,,,YOU,,
20.ওরে আমার দুষ্ট পাখি কেনো করিস ডাকা ডাকি সারা বেলা ব্যস্ত থাকি,,,, তাইতো তুরে দুরে রাখি,,,,রাগ করে দিসনা ফাঁকি,,,, তুই য়ে আমার পরাণ পাখি,,,,
21সুখার জন্য স্বপ্ন,দুঃখের জন্য হাসি দিনের জন্য আলো,চাঁদের জন্য নীশি,মনের জন্য আশা তোমার জন্য রোইলো বন্ধু আমার ভালভাসা|



আমার কাছে বন্ধু মানে





1.আমার কাছে বন্ধু মানে এমন একজন কেউ,তিব্রো তাপে মরুর মাজে সিতল জলের ডেউ।বন্ধু তুমি ফেলে ব্যাথা কথা কিংবা কাছে,কষ্ট কবু রেখ নাক তোমার মনের মাজে।

2.হয়তো আনমনে ভেবেছি কত রূপকথা,নয়তো অভিমানে কেদেছি একা একা ।জানি কেউ তো বোঝেনা আমার এই ব্যথা ,তাই জোনাকিদের সাথে বলে যাই না বলা কত কথা ।

3.ভাললাগা ভালবাসা মানুষের নীতি দুকুলেই বাধা পড়ে দুজনের স্মৃতি|

4.পাতা তো অনেক হয়,প্রথম পাতার মত নয় ।প্রেম তো অনেক হয়,প্রথম প্রেমের মত নয় ।ফুল তো অনেক হয়,গোলাপ ফুলের মত নয় ।বন্ধু তো অনেক হয়,প্রথম বন্ধু মত নয় ।

5.বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিও ডাক, গল্প করবো তোমার সাথে আমি সারা রাত,তুমি যদি কষ্ট পাও,আমায় দিও ভাগ,তোমার কষ্ট শেয়ার করব, হাতে রেখে হাত....

6.ফুল ফুটে কি হবে, একদিন তো ঝরে যাবে। স্বপ্ন দেখে কি হবে, সকালে তো ভেংগে যাবে। বন্ধু ভেবে কি হবে, বন্ধু তো ভুলে যাবে।

7.বুকের ভিতর মন আছে মনের ভিতর তুমি বন্ধু হয়ে তোমার হৃদয়ে থাকতে চাই আমি...

8.বন্ধু তোমায় খুব বেশি মনে পড়ে যেন পৃথিবীর সব হারিয়ে ফেলি, একবার তুমি চোখের আড়াল হলে। বন্ধু তুমি আমার ভালবাসার বাঁধন আছো তুমি থাকবে ভালবাসায়, আমার হৃদয়ে হাজার জনম জনম।

9.বন্ধু তুমি আপন হয়ে,, বাধলে বুকে ঘর.. কষ্ট পাব আমায় যদি,, করে দাও পর.. সুখের নদী হয়না যেন,, দুঃখের বালু চর.. সব সময় নিও বন্ধু আমার খবর..!!

10.বন্ধু... কথাটি খুব ছোট্ট হলেও গভীরতা আকাশ সমান বিশাল । জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা একা নই । চলার পথের বন্ধুর রাস্তা গুলো বন্ধু বিনে চলা প্রায় অসম্ভব। তাই শুধু বন্ধু হলেই পুরন হলেই হবেনা বন্ধুত্বের পুর্ন দাবী, হতে হবে বন্ধুর মতো বন্ধু। কথায় আছে Friends Never Die. বন্ধু কখনো মরেনা।

11.ভালো একজন বন্ধু যতোই ভুল করুক , তাকে কখন্ও ভুলে যেও না। কারন, পানি যতোই ময়লা হোক,আগুন নিভাতে সেই পানিই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে।

12.আকাশ দেখেছি,, নদী দেখেছি,, দেখেছি অনেক তারা.. দেখেনি আজ ও ফেসবুকে আমার আসল বন্ধু কারা...!!

13.দিন যদি হারিয়ে যায়, দিগন্তের কাছে। ফুল যদি ঝরে যায়, বেলার শেষে। রাত যদি হারিয়ে যায়, তারার দেশে, জেনে রেখো, আমি বন্ধু থেকে যাবো তোমার পাশে।

14.যে মানুষটি তোমার বিপদের সময় এড়িয়ে সুখের সময় কাছে থাকে সে তোমার প্রকৃত বন্ধু হতে পারেনা। বরং যে মানুষটি তোমার বিপদের সময় পাশে থাকে সেই তোমার প্রকৃত বন্ধু।

15.বন্ধু তুই কোথায় গেলি আমাকে না বলে ,আমি আজ চেয়ে আছি তোর পথের পানে, জানি তুই আসবি ফিরে, একদিন হঠাৎ করে, সে দিন ও দেখবি বন্ধু আমি যাই নিই তোকে ভুলে

16.সেই প্রকৃত বন্ধু যে বন্ধুর চোখের প্রথম ফোটা পানি দেখে দ্বিতীয় ফোটা পরার আগে ধরে ফেলে আর ৩য় ফোটা পরার আগে তা হাঁসিতে পরিনত করে.

17.সবাই আমার বুন্ধু নয়। আবার, আমার বুন্ধু সবার মত নয়। সে আমার কথা মনে রাখে শত কাজের ভিরে। ফ্রী হলে ডাকি ও আমায়, আছি আমি তুমার দুয়ারে

18.আমি ১টা দিন চাই আলয় আলয় ভরা। আমি ১টা রাত চাই, অন্ধকার ছারা। আমি ১টা ফুল চাই, সুন্দর সুবাস ভরা। আর ১টা ভাল বন্ধু চাই সবার চেয়ে সেরা…

19.ব্ন্ধু মানে জোসনা ভেজা গলপো বলা রাত.. বন্ধু মানে ভালোবাসার শিক্ত দুটি হাত.. বন্ধু মানে মনের যত গোপন কথা বলা.. বন্ধু মানে তোমার সাথে সারা জীবন চলা...

20.ঝেড়ে ফেলো অভিমান, ছুঁয়ে দেখ এই প্রাণ। বন্ধ দুচোখের নিভু নিভু কালোয়, যে আলোয় ভেসে আসো তুমি। মনে হয়, মিশে যাই, তোমার আরো কাছে...

21.কে তোমার সব চেয়ে ভাল বন্ধু সেটা তখনই বুঝবে, যখন তোমার কাউকে খুব প্রয়োজন হবে !!!
নতুন প্রেম শুরুর গল্প



একটি জীবন, একটি প্রেম-
এমনটা আজকাল খুব
একটা দেখা যায় না। বরং বেশ
কয়েকটি ভাঙা সম্পর্কের কষ্ট
পেরিয়েই মানুষ শেষ
পর্যন্ত খুঁজে পায় একজন সত্যিকারের
মনের মানুষ।
সম্পর্ক ভাঙবে, আবার সম্পর্ক গড়বেও।
তবে হ্যাঁ,
নতুন সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে চাই কিছু
প্রস্তুতি।
দুজন মানুষের মাঝে কেবল
ভালোবাসা থাকলেই
হবে না, একটি নতুন সম্পর্কে জড়ানোর
আগে আপনার নিজের
করে নিতে হবে কিছু কাজ।
কী রকম? চলুন, জেনে নিই পেশাদার
clinical
psychologist ও একাধিক গ্রন্থের লেখক Jill
P.
Weber কী মনে করেন।
নিজেকে বুঝুন, নিশ্চিত হোন
যে আপনি কী চান
আপনি কেমন সম্পর্ক চান, আসলেই এই
মানুষটির
সাথে আপনি ভিবিসশতের স্বপ্ন
দেখেন কিনা, তাঁর
হাত
ধরে নিজেকে ভিবিসশতে কল্পনা করতে পারেন
কিনা, তিনি আপনার চাহিদা মত
একটি জীবন ও
ভালোবাসা আপনাকে দিতে পারবেন
কিনা ইত্যাদি খুব
ভালো করে বুঝে নিন।
নিজের শারীরিক-মানসিক
চাহিদাটা খুব
ভালো করে বুঝে নিন
কেবল মনের চাহিদা মিটলে হয় না,
শরীরটাও
গুরুত্বপূর্ণ। আবার কেবল
শরিরি ভালোবাসা দিয়েই
প্রেম নয়। নিজের চাহিদাগুলকে বুঝুন
আর মিলিয়ে নিন
যে সেই মানুষটি চাহিদা পূর্ণ
করতে পারবেন কিনা।
মস্তিষ্ককে বিশ্বাস করুন, যা দেখছেন
সেটাকে গুরুত্ব
দিন
মন আর মস্তিষ্কে টানা পোড়ন চলছে?
মস্তিষ্কের
কথাকে ফেলবেন না যেন। মন অনেক
কিছুতেই
ধোঁকা খায়, কিন্তু মস্তিষ্ক সবসময় সঠিক
পথ দেখায়।
চোখ খান খোলা রাখুন,
যা ঘটছে জীবনে ভালো করে দেখুন।
ও নিজের দৃষ্টির
ওপরে আস্থা রাখুন।
কেবল যৌনতার জন্য সম্পর্ক
কিনা ভেবে দেখুন
কেবল যৌনতার জন্য প্রেম হলে তাঁর
কোন ভবিষ্যৎ
হয় না। কখনোই হয় না। এই
কথাটা কখনো ভুলবেন না।
মানসিকভাবে পিতামাতার
প্রতি নির্ভরশীলতা কমাবার
চেষ্টা করুন
এই কাজটি কঠিন, কিন্তু একটি সফল
সম্পর্ক
চাইলে এটি করা জরুরী।
যদি মনে করেন যে এই
মানুষটির সাথেই
আপনি ভবিষ্যতে সুখী হতে চান
তাহলে মা বাবার প্রতি আবেগীয়
নির্ভরশীলতা কমান।
নিজের ও পছন্দের মানুষটির
ব্যাপারে নিজেই
সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন।
নতুন অভিজ্ঞতাগুলোর সাথে খাপ
খাইয়ে নিন
এই মুহূর্তে অনেক কিছুই ঘটছে আপনার
জীবনে। নতুন
সম্পর্ক, নতুন উচ্ছাস, নতুন অভিজ্ঞতা।
এগুলোর
সাথে তাড়াহুড়া করবেন না। খুব
আস্তে আস্তে খাপ
খাইয়ে নিন। সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ
হবে।

 ব্যর্থ প্রেমের গল্প
প্রিয় স্বনালী আক্তার তানিয়া,
কেমন আছিস
প্রশ্নটা করে তোকে বিব্রত করবো না। ---
আমি জানি তুই উত্তর
দিবি না….হয়তো তোর ইচ্ছে করে উত্তর
দিতে কিন্তু দিলে এই
বাঁদরটাকে কাঁধে চড়ানো হবে।আজ
কেন জানি তোকে খুব
করে লিখতে ইচ্ছে হলো।
তোকে জানাতে ইচ্ছে হলো আমি বেঁচে আছি।
চিঠি লেখাটা আমার অভ্যেস।
অনেকেই ইন্টারের বাংলা দ্বিতীয়
পত্র পরীক্ষা দিয়েই আর কোনদিন
চিঠির ধার ঘেষে না।
আমি তেমনটি নই।আমি পত্র-প্রেমী।মন
ভাল থাকুক কিংবা খারাপ
আমি চিঠি লিখি…অমুককে,তমুককে…
একে কিংবা ওকে।আমার বেশীরভাগ
চিঠিগুলোই রয়ে যায় ডায়েরীর
নিস্তেজ পাতাগুলোতে।কেনন
া আমি যাদের লিখি এদের কারও
ঠিকানায় আমার জানা নেই
কিংবা জানা থাকলেও তারা উত্তর
দেবে না কখনই।কিছুক্ষন আগে আমার
মাকে একটা চিঠি লিখেছি।
তোকে বলা হয়নি কিছুদিন আগে আমার
মা মারা গেছেন।
একদিন হয়তো আমি মৃত্যুকে চিঠি লিখব।
কে জানে সেও মুখ
ফিরিয়ে থাকবে কিনা।
ভালো থাকিস হাজারো খারাপের
ভীড়ে।
ইতি ,
পাগলীর রাজকুমার




রাত যত গভীর, ভালবাসা তত নিবির




…রীতা প্লিজ আস্তে বল। মা শুনবে।
…শুনার জনইতো বলছি। হয় ঔ
মহিলা থাকবে না হয় আমি?
…সে কি রিতা। মা কে তুমি এসব কেন
বলছ?
…একটু বের হতে পারি না, বান্ধবিদের
সাথে ফোনে কথা বলতে পারি না।
একটু রাত করে ফিরলে কত কৈফিয়ৎ।
আমি আর সহ্য করতে পারব না।
…আচ্ছা আমি দেখছি।
প্রবাসি রিফাত কানাডায় থাকে।
রিতা তার বিবাহিতা স্ত্রী।
তাদের
দাম্পত্য জীবন শুরু হয় ২বছর। রিতা বার
বার
রিফাতের মা কে নিয়ে বলে।
রিতা তো ঠিকই বলে। বন্ধু বান্ধব
তো থাকবে। আর একটা মানুষ
তো বেড়াতে যাবেই।তাই বলে এত
কিছু?
না না। মা কে এটা নিয়ে বলতে হবে।
দেশে আসলে এই অবস্হা। দুর ভাল
লাগেনা।
…মা! আসব?
…রিফাত আই বাবা। মায়ের
কাছে আসতে পারমিশন লাগে?
…মা একটা কথা বলব? তুমি কোথাও
থেকে বেড়িয়ে এস।
ঘরে থাকতে থাকতে কেমন যেন
বাহিরের পরিবেশের
সাথে অচেনা হয়ে গেছ।
… রিফাত আমিও তা ই ভাবছি।
তোদের
খুব অসুবিধা হচ্ছে না?

আমি তোমাকে মাসে মাসে টাকা পাঠাব।
তুমি অন্য কোথাও গিয়ে থাক।
…তুই এখনও ছোট রয়ে গেলিরে। মায়ের
কষ্ট ঠিক আগের মতই বুঝিস। তোর
মনে আছে একদিনে গভীর রাতে আম
খাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিলি। তোর
বাবা দ্রুত গিয়ে আম এনেছিল। আর
সে আম কাটতে গিয়ে ঘুমের
ঘুরে আমি আমার হাত কেটে ফেলি।
আর
তোর সে কি কান্না। কত যত্নে আমার
হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলি।
…মা তুমি এখনও আগের যুগেই
রয়ে গেলে।
…হ্যা রে। তাই তো আজও তোর
কাছে পড়ে আছি। মনে আছে? তুই তোর
একদিন খুব জ্বর।
কোনো কথা বলতে পারছিস না।
তোকে জড়িয়ে ধরে সারা রাত
ছিলাম। রাত যত বাড়তে লাগল। তোর
প্রতি আমার ভালবাসা ততই নিবিড়
হতে লাগল। একটু ঘুমাইনি সেদিন। কত
কষ্ট
পেয়েছিস তুই।
… মা বাদ দাও ওসব। অনেক রাত
হয়েছে ঘুমিয়ে পড়।
রিফাত যাওয়ার পর মিসেস সীমার
চোখে বেয়ে অশ্রুর ঢল। তিনি অতীত
মনে করার চেষ্টা করলেন।
রিফাতকে নিয়ে কত স্মৃতি আজ
দুয়ারে এসে ভিড় জামাচ্ছে। রিফাত
আসবে খবর শুনে সিফাত সেকি খুশি।
বাসায় একটি ছোট করে পার্টিও দেয়।
তারপর
ঝগড়া লাগতো ছেলে হবে না মেয়ে হবে।
সীমা বলত ছেলে হবে আর সিফাত বলত
মেয়ে হবে। এই নিয়ে তুমুল কান্ড।
অনেকদিন কথা পর্যন্ত বলেনি সীমা।
শেষমেস সীমার কথাই সত্যি হল।
ছেলেই
হল। সীমা সিফাতের নামেই নাম ঠিক
করল রিফাত। এবং বাড়ির নামও
রাখা হল "রিফাতের নীড়"। তার প্রিয়
রং লাল। তাই লাল রঙয়েই করল
বাড়িতে। সবকিছু রিফাতের পছন্দমত।
রিফাতের বাবা মারা গেল রোড়
এক্সিড়েন্টে ।
সেথেকে রিফাতকে সম্বল করেই
বেছে থাকা।
ভাবতে ভাবতে কবে ঘুমিয়ে গেল
খেয়াল নেই।
খুব ভোরে উঠল রিফাত। উঠে তার
মায়ের কাপড় ছোপড় ঘুছাতে লাগল।
…চল মা তাড়াতাড়ি।
দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি আজ
কানাড়া চলে যাব।
…বাবা একটু মাথাটা এদিকে আন।
কপালে চুমু একে দিয়ে হাটা শুরু
করলেন
গাড়ির দিকে।
রিফাত তার মা কে এমন
একটি জায়গায়
নিয়ে এল যেখানে সবাই বৃদ্ধ
মহিলা খেলা করছেন, গল্প করছেন।
রিফাত দশবছরের টাকা এককালিন
পরিশোধ করে চলে গেল। অনেকক্ষন
তাকিয়ে ছিল রিফাতের দিকে।
একবার যদি ফিরে তাকায়। একবার
যদি মা বলে ডেকে তাকে জড়িয়ে ধরে।
না, রিফাত
গাড়িতে উঠে বউকে নিয়ে চলে গেল।
১ বছর পর
……………………
কি ব্যাপর রিতার মোবাইল দুদিন
ধরে বন্ধ। কোনো সংযোগ দিচ্ছে না।
ব্যাপারটা কি?
এমন তো কিছু হয়নি? মা কি আবার
ফিরে এসেছে? না এই
মহিলাকে নিয়ে পারা যাবে না।
দ্রুত
দেশে যেতে হবে। রিফাত চলে এল
দেশে।
দরজা খুলা। রিতার ঘরও খুলা।
আলমারি খালি। হঠাৎ বিছানায়
একটি কাগজ চোখে পড়ল। ডিবোর্স
পেপার সাথে রিতার স্বাক্ষর।
একটি চিরকুট। এলোমেলো হয়ে গেল
মুহুর্তে সব। রিতা তার
সাথে প্রতারনা করল।
সাথে সাথে বিছানায় বসে পড়ল
রিফাত। কান্নার অঝর ধারা গাল
বেয়ে নামতে লাগল। তার মায়ের
কথা মনে পড়ল। মা তো ঠিকই করত।
মা কে কষ্ট দিয়ে সে ভুল করেছে।দ্রুত
গেল বৃদ্ধাশ্রমে।
…আমার মা কোথায়?
…কি বলছেন এসব? কত করে বললাম লাশ
টা নিয়ে যান। আপনারা তো কেউ
এলেন না। তাই আমরা আমাদের কবর
স্হানে কবর দিছি। ঐ যে এটা
রিফাত বসে পড়ল। মা তুমি আমায়
ছেড়ে চলে গেলে? আমায়
রেখে গেলে। কেন মা কেন। আমায়
ক্ষমা করে দাও মা। ক্ষমা করে দাও।
রিফাত কবর
জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।
রাত
হয়ে গেল। যত রাত
বাড়ছে ভালবাসা ততই নিবিড় হচ্ছে।